বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন সাজিদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। আরেকটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সে দায়িত্ব পালনের অভিযোগে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, শফিকুর রহমান বিমানের একজন স্থায়ী পাইলট হওয়া সত্বেও বেসরকারি একটি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট দুবাই থেকে ঢাকা নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে বিমান অবহিত নয়। এতে বলা হয়েছে, আপনি পদত্যাগপত্র গত ২৪ অক্টোবর জমা দিয়ে ওইদিন তা কার্যকরের জন্য বলেছেন, যা বিমান বাংলাদেশ করপোরেশন এমপ্লয়িজ রেগুলেশন ১৯৭৯ অনুযায়ী এতে বৈপরীত্য রয়েছে।
তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার আগেই তিনি ওই বেসরকারি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে উিউটি করেছেন। এই ধরনের অসদাচারণ বিমান বাংলাদেশ করপোরেশন এমপ্লয়িজ রেগুলেশন ১৯৭৯’র ৫৫ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এজন্য আগামী ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এ বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে রেগুলেশন অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, গত বছরের মার্চে ক্যাপ্টেন সাজিদকে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের কারণে বিমানের চিফ ট্রেনিংয়ের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল।ক্যাপ্টেন সাজিদের স্ত্রী সাদিয়া জাল সনদে ১০ বছর বিমানে উড়োজাহাজ চালিয়ে পরবর্তীতে চাকরিচ্যুত হন। বৈমানিক হতে হলে উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞানে পড়তে হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিয়মানুযায়ী, উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান শাখায় পদার্থ বিজ্ঞান ও গণিতসহ এইচএসসি বা সমমানের সনদ থাকতে হয়।
বিজ্ঞানে না পড়েও জাল সনদ জমা দিয়ে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বিমানের বৈমানিক হিসেবে নির্বাচিত হন এয়ারলাইন্সটির সাবেক চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের স্ত্রী সাদিয়া আহমেদ। ২০০১ সালে তিনি শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা পাসের সনদ জমা দেন।
সাদিয়া প্রথমে জিএমজি এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু হিসেবে নিয়োগ পেলেও পরবর্তীতে দিয়ে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে চাকরি নেন। এসব জায়গায় প্রায় ১০ বছর চাকরি করেছেন। বিমানে যোগদানের আগে জাল সনদের ম্যাধমে বৈমানিক হওয়া সাদিয়া আকাশে উড়েছেন। পরবর্তীতে এসব এয়ারলাইন্স থেকে তিনি চাকরিচ্যুত হন।