পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসির ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) কর পরবর্তী নিট মুনাফা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে কোম্পানির ২০২৪ সালের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারী’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) পরিচালন মুনাফার ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা তৃতীয় প্রান্তিকে ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) তৃতীয় প্রান্তিকে ১ টাকা ৬৮ পয়সায় পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই প্রান্তিকের ১ টাকা ২০ পয়সা থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৭৩ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৬৬ পয়সা।
গৃহঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ এর ঋণ বিতরণ ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যার অন্যতম কারণ ব্যবসার ভৌগলিক সম্প্রসারন ও সেবার পরিসর বৃদ্ধি। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠানটি ইসলামিক ফাইন্যান্সিং উইং এর মাধ্যমে শরিয়াহ্ সম্মত সেবাসমূহ চালু করে এবং বেশ কিছু নতুন শাখার চালু করে, যার মাধ্যমে সমস্ত বিভাগীয় শহরে সেবা নিশ্চিত করেছে। বছরের প্রথম নয় মাসে কোর ডিপোজিট পোর্টফোলিও প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১.২০ শতাংশ যা গ্রাহকদের আস্থা নির্দেশ করে। ডিবিএইচ ১৯ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং ‘ট্রিপল এ’ (এএএ) অর্জন করেছে।
খেলাপী ঋণের পরিমান পূর্বের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ০.৯৮ শতাংশ হলেও দেশের সার্বিক আর্থিক খাতের খেলাপী ঋণের তুলনায় তা সবচেয়ে কম, যা কোম্পানির উন্নত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কারণে সম্ভব হয়েছে। পরিচালন দক্ষতার ক্ষেত্রে, ডিবিএইচ এর খরচ—আয় অনুপাত উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে, যা গত বছরের ৩০ শতাংশ থেকে ২৭.৮ শতাংশ এ নেমে এসেছে এবং এই সেক্টরের মধ্যে অন্যতম কম।
ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও নাসিমুল বাতেন বলেন, কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ডিবিএইচের এই আর্থিক সফলতা কোম্পানির সুদৃঢ় আর্থিক সক্ষমতা ও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার প্রতিফলন। ডিবিএইচের গ্রাহক কেন্দ্রিক ফোকাস, কার্যকর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও পরিচালন দক্ষতা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে ডিবিএইচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
এসএম