প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন আজ

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন আজ
যমুনা নদীর ওপর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নির্মাণ শুরু হচ্ছে আজ রবিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর থেকে ২২ বছর ধরে সেতু দিয়ে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে রেল পারাপার হয়ে আসছে। এবার বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে ডাবল লেনের ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেল সেতু।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি দেখতে গতকাল শনিবার রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সিরাজগঞ্জে গেছেন।

৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা দেবে জাইকা। অবশিষ্ট ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকার জোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ধরা হয়েছে জুলাই ২০১৬ থেকে আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু রেল সেতু হবে বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্রাকসহ প্রায় ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার। সেতুর উভয়প্রান্তে প্রায় দশমিক ০৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, প্রায় ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এন্ড এবং লুক ও সাইডিংসহ মোট প্রায় ৩০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে।

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক হওয়ায় পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলোর ক্রসিংজনিত কারণে আগের মতো স্টেশনগুলোতে অপেক্ষা করতে হবে না। ফলে সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলোর রানিং টাইম আনুমানিক ২০ মিনিট কমবে, পরিচালন ব্যয় কমবে এবং রেলওয়ের আয় বাড়বে। এ সেতুতে গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনও স্থাপন করা হবে। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে এ রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে। ওই বছরই সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য চালু করা হবে বলে এক অনুষ্ঠানের আশা প্রকাশ করেছেন রেলপথ মন্ত্রী।

১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ চালু হয়। প্রথমে ব্রডগেজ ও মিটারগেজের চারটি ট্রেন দৈনিক আটবার পারাপারের পরিকল্পনা থাকলেও যাত্রী চাহিদা বাড়তে থাকায় সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় সেতুর ওপরে চলাচলকারী ট্রেনের গতিসীমা। বর্তমানে ৩৮টি ট্রেন নিয়মিত স্বল্প গতিতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হলেও সময় অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়; বাড়ছে যাত্রী ভোগান্তি।

ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ ডেডিকেডেট রেল সেতু। এই সেতুর ওপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার বেগে দুটি ট্রেন একসঙ্গে চলাচল করতে পারবে। উন্মুক্ত হবে সব ধরনের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের। ফলে সময় সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

অর্থসংবাদ/এ এইচ আর. ১০:00/১১.২৯.২০

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু