বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন তাবিথ আউয়াল। ১৩৩ ভোটের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ১২৮টি ভোট। তার মধ্যে ১২৩ ভোট পেয়েছেন তাবিথ আউয়াল। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ৫ ভোট। সভাপতির ভোটের সংখ্যা জানিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহউদ্দিন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিনভর রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কংগ্রেস ও নির্বাচন। টানা ১৬ বছর ধরে বাফুফের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা কাজী মো. সালাউদ্দিন এবার অংশ নেননি ভোটে।
প্রার্থীতা ঘোষণার পর থেকেই ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন তাবিথ আউয়াল। শেষ পর্যন্ত বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি।
বাফুফে নির্বাচনে যে এমটনাই হবে, তা আগে থেকেই অনকেটা অনুমেয় ছিল। তাবিথ আউয়ালই হতে যাচ্ছেন বাফুফের পরবর্তী সভাপতি, এটাও একরকম নিশ্চিত ছিল।
প্রার্থীতা চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই কোনো হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না তাবিথ আউয়ালের। যে কারণে খুব একটা প্রচারণাও তাকে করতে দেখা যায়নি। তিনি নিজেও বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। জানতেন অঘটন না ঘটলে তিনিই ভোটে জয়ী হবেন। বাফুফের সভাপতি হয়ে দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে চান বলে জানিয়েছেন তাবিথ।
তাবিথ বলেন, ২০০৮ সালের ২৮ এপ্রিল বাফুফে সভাপতির দায়িত্ব নেন কাজী সালাউদ্দিন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত টানা ১৬টি বছর বাফুফেতে রাজত্ব করেছেন তিনি। আজ তার অবসান হলো। বাফুফে নতুন সভাপতি পেলো। নতুন নেতৃত্বে দেশের ফুটবল কোন পথে হাটে এটা সময়ই বলে দেবে
১৯৯৮ সাল থেকে ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হয় নির্বাচনী ব্যবস্থা। এসএ সুলতান বাফুফের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। কাজী সালাউদ্দিন ছিলেন দ্বিতীয় সভাপতি। চার মেয়াদে সভাপতি ছিলেন তিনি। এবার তিনি নির্বাচনে অংশ নেননি। তাবিথ আউয়াল বাফুফের তৃতীয় সভাপতি। তবে ভোটের হিসেবে তিনিই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।
এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তাবিথ আউয়াল। ২০২০ সালে সহ-সভাপতি পদে ঠাই হয়েছিল। পুনরায় নির্বাচনে তাবিথ হারেন ৪ ভোটে। এবার তিনি সভাপতি নির্বাচিত হলেন।