চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশের ব্যাংকগুলোর কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) সংক্রান্ত ব্যয় কমেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪৬ শতাংশ কম। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে মুনাফার ধীর প্রবৃদ্ধির কারণেই সিএসআর ব্যয় কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশের ৬১টি ব্যাংকের সিএসআর ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০৯ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে (জানুয়ারি-জুন সময়) ছিল ৫৭১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের জুন শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত ১৬ বছরের মধ্যে বিতরণ করা ঋণ ও খেলাপি ঋণের সর্বোচ্চ অনুপাত এটি।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বেসরকারি দি প্রিমিয়ার ব্যাংক চলতি বছরের প্রথমার্ধে সর্বোচ্চ সিএসআর ব্যয় করেছে ৪৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটি সিএসআর খাতে ব্যয় করেছিল মাত্র ১৯ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এক্সিম ব্যাংক ২৮ কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ সিএসআর-সংক্রান্ত ব্যয় করেছে মাত্র ২৬ কোটি টাকা। ব্যাংকটির গত বছর একই সময় ব্যয় ছিল ৪৭ কোটি টাকা।
এছাড়া আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক সিএসআর-সংক্রান্ত ব্যয় করেছে ২১ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১৯ কোটি টাকা, শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক ১৮ কোটি টাকা, যমুনা ব্যাংক ১৭ কোটি টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১০ কোটি টাকা ও ডাচ্-বাংলা ৯ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। আর আর্থিক সংকটের কারণে ৬টি কোন অর্থ ব্যয় করতে পারেনি।
ব্যাংকাররা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে বেশিরভাগ অর্থ ব্যয় করেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, সিএসআর তহবিলের ৩০ শতাংশ শিক্ষাখাতে, ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবায় ও ২০ শতাংশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন খাতে বিনিয়োগ করতে হয় এবং অন্যান্য খাতে বাকি ২০ শতাংশ খরচ করতে হয়।