ক্যাটাগরি: পুঁজিবাজার

ডিএসইর সাবেক চেয়ারম্যান খাজা আব্দুল কুদ্দুস মারা গেছেন

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান খাজা আব্দুল কুদ্দুস মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)৷ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বাদ যোহর সিরাজগঞ্জে এনায়েতপুরে খাজা আব্দুল কুদ্দুসের নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর, এনায়েতপুর মাজার শরীফ প্রাঙ্গনে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

খাজা আব্দুল কুদ্দুস দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনীত রোগে ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম ডিএসইর পক্ষ থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

সিরাজগঞ্জ জেলার অত্যন্ত সু-পরিচিত ব্যক্তিত্ব এবং খাজা এনায়েতপুরী দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা শাহ সুফি হযরত মওলানা ইউনুস আলীর কনিষ্ঠ পুত্র খাজা আব্দুল কুদ্দুস দেশের পুঁজিবাজারের সু-পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৬৯ সালের ১১ জানুয়ারি দেশের পুঁজিবাজার ডিএসইর সদস্য পদ লাভ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ডিএসইর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৬ সালের ১৬ আগস্ট পুনরায় ডিএসই নতুনভাবে যাত্রা শুরুর চার বছর পর ১৯৮০ সালে ডিএসইর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন খাজা আব্দুল কুদ্দুস।

পরবর্তী সময়ে তিনি ১৯৮২ এবং ১৯৯০ সালে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে বিভিন্ন মেয়াদে ৩ বছর ডিএসইর চেয়ারম্যান এবং টানা ৭ বছর (১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত) ডিএসইর কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রকৃত অর্থেই তিনি একজন দক্ষ সংগঠক এবং পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও গবেষক ছিলেন। তাঁর সমগ্র চিন্তা চেতনাই ছিল পুঁজিবাজারকে কেন্দ্র করে। মানব সেবায় সক্রিয় খাজা আবদুল কুদ্দুস নিজ জেলা শহর সিরাজগঞ্জে বহু মসজিদ ও মাদ্রাসা স্থাপন করেন৷ মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পাঁচ ছেলে সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এসএম

শেয়ার করুন:-
শেয়ার