স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদধারী স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়োগ বিধি সংশোধন করে টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ ১১তম গ্রেড দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. আখিল উদ্দিন, সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে আখিল উদ্দিন বলেন, ১৯৭৭ সাল থেকে আমাদের সমগ্রেডে চাকরিরতদের সময়ের পরিক্রমায় বেতন সুযোগ-সুবিধা গ্রেড বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসলেও সৃষ্টির সেরা জীব মানব শিশুস্বাস্থ্য ও মাতৃস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার পরও তৃণমূলের স্বাস্থ্য সহকারীদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন এখনো হয়নি। তাই আমাদের বেতনবৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমমান ১৩তম গ্রেড এবং ৪ বছর মেয়াদি ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা ট্রেনিং সাপেক্ষে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা সহ ১১তম গ্রেড দিতে হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্য সহকারীদের এমআইএস’র মাধ্যমে নীড় পাতায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়ন এবং ২০২০ সালের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সিনিয়র স্বাস্থ্য সচিবের সঞ্চালনায় ডিজি ও অন্যান্য কর্মকর্তা এবং আমাদের নেতাদের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভায় আমাদের দাবিসমূহ মেনে নিয়ে রেজুলেশনের মাধ্যমে যে সমঝোতা হয়, তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ওই রেজুলেশনটি বাস্তবায়ন করার জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করে। দাবি আদায় না হলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ইপিআই সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রম বর্জনসহ অন্যান্য সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবো। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপণ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সমন্বয়ক মো. ওয়াসি উদ্দিন রানা, এ কে এম মাইনুদ্দিন খোকন।