পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংশ্লিষ্টমহল। এমনকি বিনিয়োগকারীরা তাকে ‘অযোগ্য’ দাবি করে সম্প্রতি তার পদত্যাগের জন্য টানা আন্দোলনও করেছেন। তবে তার পক্ষে সাফাই গাইলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ নামের আমেরিকাভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলের টকশোতে তিনি বিএসইসি চেয়ারম্যানের পক্ষে কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, লোকজন বলে মাকসুদ পুঁজিবাজার বোঝে না। পুঁজিবাজার বোঝে না মানে কী? সে পুঁজিবাজারের চুরিটা ধরতে পারছে কিনা এটাই বড় বিষয়। সে প্রফেশনাল মানুষ। পুঁজিবাজার নিয়ে যারা নেতিবাচক লেখালেখি করছে, তারা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের ‘লোক’।
তিনি বলেন, ব্রোকার হাউজ এসোসিয়েশনসহ অন্যান্য এসোসিয়েশনও মোটামুটি ওদের (আওয়ামী লীগ) দলের লোক। বাজারের এই পরিস্থিতি যারা পছন্দ করছে না, পেপারে লেখালেখি করে তারা ওদেরই লোক।
সম্প্রতি বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজিতে ৪২৮ কোটি টাকা জরিমানার বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি মাকসুদকে (বিএসইসি চেয়ারম্যান) জিজ্ঞেস করেছিলাম জরিমানার বিষয়ে। সে আমাকে বলেছে, স্যার এই কারসাজিটা ২০২১ সালে ডিসকাভার করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে জরিমানা করা হয়েছে। আমি বলেছি তুমি করতে থাকো।
জরিমানার বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সাংবাদিক হায়ার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, একটি পত্রিকার এডিটর তাকে (বিএসইসি চেয়ারম্যান) প্রশ্ন করছেন কেনো তাকে (কারসাজিকারক) জরিমানা করা হলো? সে নাকি সাংবাদিককে বলেছে, আমি ৬০ কোটি টাকা বানিয়েছি ৫ কোটি খরচ করবো।
সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের সামনে যারা আন্দোলন করেছেন তারা ছোট বিনিয়োগকারী না বলেও দাবি করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, তাদের ধারনা সকাল বেলা শেয়ার কিনবো বিকেলে বিক্রি করবো। কিন্তু এটাতো পুঁজিবাজারের বৈশিষ্ট্য না। পুঁজিবাজার একটা ইনভেস্টমেন্ট ডিসিশন। আপনি থাকবেন, অপেক্ষা করবেন, দাম বাড়লে বিক্রি করবেন।
এমআই