পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের মোট সম্পদমূল্য ৮২ কোটি টাকা কমেছে। ফলে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) কমেছে ৪ টাকা ৫৩ পয়সা।
গত ৩০ জুন পর্যন্ত করা কোম্পানিটির সম্পদ মূল্যায়নের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল (১৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ডরিন পাওয়ারের পর্ষদ সভায় সম্পদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
ঢাকা স্টক একচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সম্পদ মূল্যায়ন করে ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস। এতে দেখা যায়, নিরীক্ষার আগে কোম্পানিটির মোট সম্পদমূল্য ছিলো ১৭৭ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার ৪৯৬ টাকা। মূল্যায়নের পর কোম্পানিটির সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯৫ কোটি ৭৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৮২ টাকায়। ফলে আগের হিসাবের তুলনায় কোম্পানিটির সম্পদমূল্য কমেছে ৮১ কোটি ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার ১১৪ টাকা।
এদিকে সম্পদমূল্য কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানিটির নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) কিছুটা কমেছে। ডিএসই জানায়, গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ৫২ টাকা ৩৪ পয়সা থেকে আরও ৪ টাকা ৫৩ পয়সা কমেছে।
জানা যায়, কোম্পানিটির সম্পত্তি, প্লান্ট এবং সরঞ্জামের (পিপিই) লিখিত মূল্য অনুযায়ী এ মূল্যায়ন করা হয়। আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন মান এবং বিএসইসির নির্দেশনা মোতাবেক কোম্পানিটির সম্পদ মূল্যায়ন করেছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান কে. এম. আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।
শেয়ারবাজারে ২০১৬ সালে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ারের দেশজুড়ে তিনটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। টাঙ্গাইল ছাড়াও বাকি দুটি ফেনী ও নরসিংদীতে অবস্থিত। তবে সরকারের সাথে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফেনী এবং টাঙ্গাইলের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
এদিকে পিপিএর মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (বিপিডিবি) আবেদন করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে তা অমীমাংসিত থাকায় সম্প্রতি ফেনী এবং টাঙ্গাইল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইঞ্জিন, আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম, সাবস্টেশন সরঞ্জাম এবং অন্যান্য সম্পদ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে ডরিন পাওয়ার।
২০০৮ সালের নভেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে ডরিন পাওয়ার জেনারেশন্স অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়। ২০১০ সালে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নর্দান ও সাউদার্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়।
এমআই