স্টক ব্রোকারদের কার্যক্রমের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ এবং ব্যবসায় বাধা প্রদানকারী বিদ্যমান আইন কানুন ও নিয়ম-নীতির প্রয়োজনীয় সংস্কার করে পুঁজিবাজারে তাদেরকে অনুকূল পরিবেশ প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) পূর্ব নির্ধারিত বিএসইসি ও ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) মধ্যকার বৈঠকে এ আশ্বাস দেন তিনি। আগারগাঁও শেরে বাংলা নগরস্থ, কমিশন ভবনের মাল্টিপারপাস হলে সকাল সাড়ে ১০ টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বাজার পরিস্থিতি তুলে ধরে এর উন্নয়নে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি ব্রোকারেজ হাউজের উপর আরোপিত বিষয়ে কমিশনের নিকট তুলে ধরেন এবং তা পূনবিবেচনার জন্য অনুরোধ করেন।
ব্রোকারদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর মধ্যে, সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) থেকে সুদ বন্টন, মূল ব্যবসার বাইরে বিনিয়োগ, আনএডিটেবল ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন, কোম্পানিকে লিমিটেড থেকে পিএলসি করতে চার্জ প্রদান, মার্জিন লোনের উপর ১২ শতাংশ সুদের হার তুলে নেয়া, এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন ও স্কিম পুনমূল্যায়ন করা, সিসিবিএলর কার্যক্রম ও অগ্রগতি দেখা, বিএসইসি (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা ২০২৩ প্রণয়নে পুনমূল্যায়ন ও পূনবিবেচনা করা, বাজারে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য প্রকাশ, মানসম্মত ভাল আইপিও তালিকাভূক্ত করা, মিউচুয়াল ফান্ড সক্রিয় করা ইত্যাদি। বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রতিটি বিষয় অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন এবং ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বিএসইসির কমিশনার মো. মহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নির্বাহী পরিচালক, পরিচালক ও বিভিন্ন বিভাগের উপ-পরিচালকগনও উপস্থিত ছিলেন।
ডিবিএর পক্ষ থেকে অন্যান্যদের মধ্যে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর হায়দার খাঁন, পরিচালক মামুন আকবর, বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন ও ডিবিএর সেক্রেটারী দিদারুল গনী উপস্থিত ছিলেন।
এসএম