আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে ফের বাড়লো সোনার দাম
বিশ্ববাজারে সোনার দামে সম্প্রতি কিছুটা দরপতন দেখা গেলেও ফের বাড়ছে মূল্যবান ধাতুটির দাম। গত দুদিনে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫০ ডলার।
জানা যায়, চলতি বছরের জুন মাস থেকে সোনার দাম বাড়ার প্রবণতা শুরু হয়। গত ৭ জুন প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ২৯৩ ডলার। এরপর দফায় দফায় দাম বেড়ে ১৬ জুলাই প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৪৬৮ ডলারে ওঠে।
অবশ্য এখানেই সোনার দাম বাড়ার প্রবণতা থামেনি। এরপরও সোনার দাম বাড়ার প্রবণতা চলতে থাকে। গত ২০ সেপ্টেম্বর ইতিহাসে প্রথমবার প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৬০০ ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে। এ রেকর্ড গড়ার পরও সোনার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৬৮২ ডলার পর্যন্ত ওঠে। এটিই এখন পর্যন্ত সোনার সর্বোচ্চ দাম।
এই রেকর্ড দাম হওয়ার পর সোনার দাম কমার প্রবণতা দেখা যায়। কয়েক দফায় দাম কমে ১ অক্টোবর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৬৩১ ডলারে নেমে আসে। এরপর কয়েক দফায় সোনার দামে উত্থান-পতন হলেও দাম কমার পাল্লা ভারী হয়। এতে ১০ অক্টোবার লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৬০৬ ডলারে নেমে যায়।
এই মূল্য সংশোধনের পর ১০ অক্টোবর লেনদেনের শেষদিকে আবার সোনার দাম বাড়ার প্রবণতা শুরু হয়। যা অব্যাহত থাকে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস অর্থাৎ ১১ অক্টোবরও। এতে গত সপ্তাহের লেনদেন শেষে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৫৭ ডলারে। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষদিন প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৫ ডলার বা শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমার মধ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়। সে সময় সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৫৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২০১ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বে সাংবাদিক হত্যার ৮৫ শতাংশ মামলায় শাস্তি হয় না: ইউনেস্কো
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাংবাদিক হত্যা নিয়ে দায়ের করা মামলার ৮৫ শতাংশ এখনও অমীমাংসিত বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি হয়নি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়মুক্তির অবসানের আন্তর্জাতিক দিবসে, সব রাষ্ট্রকে সাংবাদিক হত্যার দায়মুক্তির অবসানের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে এই সংস্থাটি।
ইউনেস্কোর একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, সাংবাদিক হত্যার দায়মুক্তির মাত্রা এখনও দুঃখজনকভাবে অত্যন্ত বেশি। ৮৫ শতাংশ। ছয় বছরে যা মাত্র ৪ পয়েন্ট কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে, সত্য ঘটনা খুঁজে বের করার পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রতি চারদিনে একজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাউকে দায়ী করা সম্ভব হয়নি।
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজৌলে বলেন, আমি আমাদের সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাই যাতে এই অপরাধগুলো যারা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। এ জন্য যা কিছু করা দরকার তার সবকিছুই আপনাদের করা উচিত। ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা ঠেকাতে অপরাধীদের বিচার করা এবং দোষী সাব্যস্ত করা একটি প্রধান মানদণ্ড।
ইউনেস্কোর নতুন প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য হারে সাংবাদিক হত্যার দায়মুক্তি অব্যাহত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়। শুধু তাই নয়, ২০০৬ সাল থেকে ইউনেস্কোর রেকর্ড করা এসব হত্যার ৮৫ শতাংশই অমীমাংসিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও ইউনেস্কো এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। কারণ ৬ বছর আগে এই হার ছিল ৮৯ শতাংশ এবং বারো বছর আগে ছিল আরও বেশি; যা ৯৫ শতাংশ। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ কমানোর বিষয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে তাদের প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে রাষ্ট্রগুলো, বলছে ইউনেস্কো।
ইউনেস্কোর (২০২২ -২০২৩) সালের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মোট ১৬২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আগের দুই বছরের (২০২০-২১) তুলনায় প্রায় অর্ধেক মৃত্যু হয়েছে দেশগুলোতে সশস্ত্র সংঘাতের সময়।
অন্যান্য দেশে, বেশিরভাগ সাংবাদিক মারা গেছেন সংগঠিত অপরাধ, দুর্নীতি বা জনগণের বিক্ষোভের ঘটনা কভার করতে গিয়ে। প্রতিবেদনটিতে আরও উদ্বেগজনক তথ্য দেয়া হয়েছে যে, ২০১৭ সাল থেকে নারী সাংবাদিক হত্যার সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। যেখানে ১৪ জন নারী নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের আলটিমেটাম আদানির
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। চারদিনের আলটিমেটাম দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তারা বলছে, আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া বিল পাওয়ার নিশ্চয়তার দফরফা না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। তাতে বলা হয়, আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ করা না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে এ বিষয়টি জানিয়েছে আদানি পাওয়ার।
একটি সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর বকেয়া পরিশোধের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খোলার চেষ্টা করেছিল। পিডিবি কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি ইস্যু করেছিল। কিন্তু এটি বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি অনুযায়ী ছিল না। এজন্য ডলার সংকটকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে বকেয়া পরিশোধে বিলম্বের কারণে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড গত ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) গত শুক্রবার আদানির গোড্ডা প্ল্যান্ট এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার মধ্যে মাত্র ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। পায়রা, রামপাল ও এসএস পাওয়ার ওয়ানসহ অন্যান্য বড় কারখানাগুলোতেও জ্বালানি সংকটের কারণে উৎপাদন কমে গেছে। ডলার সংকটের কারণে সময়মতো অর্থ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ।
পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাটের বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং এসএস পাওয়ারের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে চাহিদার অর্ধেক যোগান দিতে পারছে।
চুক্তি অনুযায়ী, অক্টোবরে আদানিকে ৯০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু আগের মাস গুলোতে যেখানে প্রতিমাসে বিল বাবদ ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার করে দেওয়ার চুক্তি রয়েছে সেখানে মাত্র ২০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার করে দেওয়া হয়েছে। আদানির কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনে ১০ থেকে ১২ টাকায়। ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা কেনার দামও এর সঙ্গে সম্পর্কিত।
এ বিষয়ে আদানির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে ওই কোম্পানির এক শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এর আগে বলেছিলেন, তারা আশা করেছিলেন এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু সময় মতো বিল না দেওয়া এবং বিষয়টি পরিষ্কার না করায় তাদেরকে কঠোর অবস্থান নিতে হচ্ছে।
তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণে এই কেন্দ্রের বাণিজ্যিক সফলতা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ ওই কেন্দ্রের একমাত্র ক্রেতা বাংলাদেশ এবং ৮০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের মধ্যে একটিকে অলস ফেলে রাখতে হচ্ছে। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি মাসে ৯ থেকে ১০ কোটি ডলারের বিল হলে বছরে ১১০ কোটি আয় করার সুযোগ রয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই চাহিদা ও অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে নজর দিয়েছে আদানি। বিহারের লখিসরাই সাব-স্টেশনের মাধ্যমে স্থানীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে বলা হয়েছে তাদের।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কানাডার ‘শত্রু দেশের’ তালিকায় ভারত
কানাডায় বসবাসকারী খালিস্তানি শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার জেরে ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। এরমধ্যে ভারতকে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং “সাইবার প্রতিপক্ষ” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সম্প্রতি কানাডা তাদের ‘সাইবার হুমকি নিরূপণ প্রতিবেদন ২০২৫-২৬’ প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনেই ভারতকে ‘সাইবার শত্রু’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে কানাডার সরকার ব লেছে, ভারত তার জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনে,সাইবার প্রোগ্রাম ব্যবহার করছে বলে মনে হয়। এই জাতীয় নিরাপত্তার মধ্যে গোয়েন্দাগিরি,সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ এবং ভারতের বৈশ্বিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা অন্তর্ভুক্ত। আমরা মনে করি ভারতীয় সাইবার প্রোগ্রাম হয়তো বাণিজ্যিক সাইবার সরবরাহকারীদের সাহায্যে তার কার্যক্রম উন্নত করছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা মনে করি ভারতীয় রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষিত সাইবার হুমকিকারীরা সম্ভবত কানাডা সরকারের নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরির উদ্দেশ্যে সাইবার হুমকি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যেসব দেশ বৈশ্বিক সিস্টেমে নতুন শক্তির কেন্দ্র হয়ে উঠতে চায়,যেমন ভারত, তারা সাইবার প্রোগ্রাম তৈরি করছে যা কানাডার জন্য বিভিন্ন মাত্রার হুমকি সৃষ্টি করছে। ভারতকে চীন, রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার মতোই শত্রু দেশের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কানাডা।
এদিকে একটি প্রেস কনফারেন্সে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, এটি কানাডার আরেকটি কৌশল যার মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়। ট্রুডো প্রশাসনের অধীনে কানাডার সিনিয়র কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে কানাডা ভারতের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক মতামতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ট্রাম্প-কমলা ছাড়াও আছেন যেসব প্রার্থী
আগমী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচন কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরেই প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশটির দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই দুটি দলের প্রার্থীকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়। তবে তারা ছাড়া এবারের নির্বাচনে আরও কয়েকজন প্রার্থী রয়েছেন। চলুন তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কর্নেল ওয়েস্ট
এবারের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন ৭১ বছর বয়সী শিক্ষাবিদ কর্নেল ওয়েস্ট। তিনি ২০২৩ সালের জুন মাসে নিজের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে গ্রিন পার্টি থেকে তিনি মনোয়ন চেয়েছিলেন। পরে শেষ পর্যন্ত তার রানিং মেট মেলিনা আবদুল্লাহর সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
নির্বাচনী প্রচারে ওয়েস্ট গাজায় ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতির সমালোচনা করেছেন। ওই অঞ্চলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠাসহ উল্লেখযোগ্য সংস্কারের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে প্রচার চালিয়েছেন তিনি।
জিল স্টেইন
৭৪ বছর বয়সী জিল স্টেইন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তিনি ইসরায়েলের জন্য মার্কিন সমর্থন বাতিল করা, বিনামূল্যে শিক্ষা ও চিকিৎসা ঋণ বাতিল করার পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন। গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভের সময় গ্রেফতার হয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন জিল।
চেজ অলিভার
যুক্তরাষ্ট্রের লিবারটেরিয়ান পার্টির মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলেন চেজ অলিভার। ৩৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিক একজন সাবেক রেস্তোরাঁ কর্মী। নির্বাচনী প্রচারে তিনি কমলা ও ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। নিজের প্রচারে তিনি অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করা ও যুক্তরাষ্ট্রকে বিদেশি দ্বন্দ্ব থেকে দূরে রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।
ক্লাউদিয়া দে লা ক্রুজ
ক্লডিয়া দে লা ক্রুজ পার্টি ফর সোশ্যালিজম অ্যান্ড লিবারেশন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। নিউইয়র্কের সাউথ ব্রঙ্কসে ডোমিনিকান অভিবাসী মা-বাবার ঘরে জন্ম তার। সমাজতান্ত্রিক সংগঠক, শিক্ষাবিদ ও ধর্মতত্ত্ববিদ ক্লাউদিয়া তার নির্বাচনী প্রচারে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের জন্য ক্ষতিপূরণ, মার্কিন সামরিক বাজেট ৯০ শতাংশ কমানোর কথা বলেন। অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রচারের জন্য ১০০টি বৃহত্তম করপোরেশন জব্দ করার পক্ষেও প্রচার চালিয়েছেন ক্লাউদিয়া।
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র প্রাথমিকভাবে ডেমোক্র্যাটিক দল থেকে মনোনয়নের জন্য লড়াই করেছিলেন। কিন্তু এখন তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। যদিও তিনি ২০২৪ সালের আগস্টে তার প্রচার স্থগিত করেন ও ট্রাম্পকে সমর্থন দেন। রবার্ট তার প্রচারে সরকারী ব্যয় ও বিদেশি হস্তক্ষেপের মতো বিষয়ের সমাধানে জোর দিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আমিরাতে সাধারণ ক্ষমার সময় বাড়লো দুই মাস
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা ছাড়া বসবাসরত প্রবাসীরা বৈধতার সুযোগ পাচ্ছেন আরও দুই মাস। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ইউএই’র ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস ও পোর্ট সিকিউরিটি (আইসিপি) এ তথ্য জানিয়েছে।
ভিসা ছাড়া বসবাসরত প্রবাসীদের ১ সেপ্টেম্বর থেকে দুই মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দেশটির সরকার। সাধারণ ক্ষমার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ আজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এরই মধ্যে দুই মাস বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষমার সময় নির্ধারণ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। খবর গালফ নিউজ ও খালিজ টাইমস।
সাধারণ ক্ষমার ফলে অবৈধ প্রবাসীরা বৈধতার সুযোগ পাচ্ছেন। যারা আগে আমিরাতে রেসিডেন্স ভিসায় ছিলেন এবং বর্তমানে অবৈধ তারা ‘স্পন্সর’ খুঁজে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অথবা বিনা জেল-জরিমানা বা নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই আমিরাত ত্যাগ করতে পারবেন।
এসএম