পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এই নিষেধাজ্ঞা দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান আদালতে শিবলী রুবাইয়াতের দেশত্যাগে (বিদেশ গমন) নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুদকে অনুসন্ধান চলমান আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
তবে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম দেশে আছেন, নাকি ইতিমধ্যে গোপনে দেশ ছেড়ে গেছেন-কোনো সূত্র থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের ঠিক ২ দিন আগে তিনি কানাডা থেকে দেশে ফিরেছিলেন। গত ১০ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে তিনি বিএসইসির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০ সালের ১৭ মে তাকে ৪ বছরের মেয়াদে বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। পরে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল তাকে একই পদে আরও ৪ বছরের জন্য পুনঃনিয়োগ দেওয়া হয়।
শিবলী রুবাইয়াতের ৫ বছর কার্যকালে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজার কারসাজিকারী ও লুটেরাদের নিরাপদ প্রশ্রয়ের জায়গায় পরিণত হয়েছিল বলে আভিযোগ আছে। বিতর্কিত বেক্সিমকো গ্রুপকে বন্ডের নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া, ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কারসাজি করার অবাধ সুযোগ দেওয়া, দুর্বল কোম্পানির আইপিও অনুমোদন, বোর্ড পুনর্গঠনের নামে নিজের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে বসানো, তালিকাচ্যুত ও ওটিসির কোম্পানিকে বাজারে ফিরিয়ে আনার নামে নতুন কারসাজির বীজ বপণ করেন। এছাড়াও নানা কৌশলে বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি।
কাফি