রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত ছয় কমিশনের প্রধানরা আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সমান মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও সুবিধা পাবেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত গেজেটে বলা হয়, এস আর ও নম্বর ৩৪১-আইন/২০২৪ সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, গত ৩ অক্টোবর গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ৬ অক্টোবর গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধানরা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
এতে আরও বলা হয়, এসব কমিশনের সদস্যদের যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত না, তারা কমিশনের প্রত্যেক সভায় অংশগ্রহণের জন্য ১০ হাজার টাকা সম্মানী এবং যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত তারা কমিশনের প্রত্যেক সভায় অংশগ্রহণের জন্য পাঁচ হাজার টাকা সম্মানী পাবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই ছয় কমিশনের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মূয়ীদ চৌধুরী ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হয়েছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। গত ৩ ও ৭ অক্টোবর তাদের নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।