একটি পুরোনো ভিডিও ব্যবহার করে প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সেনা সদস্যরা জড়ো হয়েছেন বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে। বিষয়টি অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে গুজব ছড়ায় একটি মহল। ভুয়া খবর, মিথ্যা ও ভুল তথ্য খণ্ডনকারী স্বাধীন বাংলাদেশি ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট ‘রিউমার স্ক্যানার’ এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।
রিউমার স্ক্যানারের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা (সিটিও) জাওয়াদ বিন হাফিজ বলেন, আমরা অনুসন্ধানে দেখতে পেয়েছি যে, ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে তা ৯ সেপ্টেম্বর ইতালিয়ান দূতাবাসের সামনে ভিসা প্রত্যাশীদের পুরনো ঘটনা। এছাড়া, আমরা আরো কিছু পুরোনো ভিডিও ছড়িয়ে পড়া শনাক্ত করেছি।
তিনি জানান, পরে যমুনায় কথিত বৈঠক ও ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামের দাবির বিষয়ে বিভিন্ন আইডি থেকে লাগাতার পোস্ট করা শুরু হলে সেগুলোও তারা পর্যালোচনা করেন। এতে করেও তারা সেগুলোর কোনো সত্যতা পাননি।
জানা যায়, গতকাল রাত ১২ টার কিছু সময় পর যুব মহিলা লীগের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি ইয়াসমিন সুলতানা পোলেন তার এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, “ইউনূসকে ওয়াকার উজ জামান, সাতদিন সময় বেঁধে দিয়েছে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পক্ষান্তরে ইউনূস, ওয়াকার উজ জামানকে ২৪ ঘন্টার টাইম বেধে দিয়েছে পদত্যাগ করতে! সার্ভিস আলম সেনাপ্রধানের সঙ্গে বেয়াদবি করায় তাকে ধমকে বসিয়ে দিয়েছে আর্মির অফিসারদের কেউ একজন। বাকবিতন্ডা চলছে! এটাই যমুনার সর্বশেষ আপডেট।” (বানান অপরিবর্তিত)
এখানে সার্ভিস আলম বলতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমকে বোঝানো হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। রিউমর স্ক্যানার এ বিষয়ে জানতে সারজিসের সাথে কথা বলেছে। তিনি বলছিলেন, তিনি গতকাল বিকেলের পর থেকে তার পরিবারের সাথে রয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংও এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, এটা একেবারেই গুজব। সবকিছু ঠিক আছে।
এ বিষয়ে বুধবার সকালে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি মজার পোস্ট শেয়ার করেছেন। পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘শুধু চেয়ারই না, প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশ ছাড়লেন বাকি উপদেষ্টারাও। সোর্স: চালাইদেন।’
এমআই