২০২৫ সালের মধ্যে নকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের (এনকেভিসি) ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে, যা দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছে এনকেভিসির প্রেসিডেন্ট জন শাখাওয়াত চৌধুরী।
গতকাল শনবিার ( ৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকায় এনকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের (এনকেভিসি) প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নেক্সাস মিটআপে তিনি এ তথ্য জানান। এনকেভিসির প্রেসিডেন্ট জন শাখাওয়াত চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মিটআপে বাংলাদেশে স্টার্টআপ খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ছিলেন চালডালের প্রধান অপারেশন অফিসার, বিএসআরএম গ্রুপের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের প্রধান, ইডকলের সাবেক প্রধান নির্বাহী, বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক প্রকল্পের প্রধান পরামর্শক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ও কমার্স ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, পেন্টা গ্লোবাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান, এইচটুও গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্টিডফাস্ট কুরিয়ারের প্রধান নির্বাহী, গোয়ারা লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এবং লিভিংটেক্স, যান্ত্রিক, পেইন্টিং মার্কেটপ্লেস আকিবুকি ও লুমসর সহ-প্রতিষ্ঠাতারা। নতুন উদ্যোক্তারাও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের ব্যবসায়িক ধারণা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া, এনকেভিসি ও এনকেসফটের কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন। নেটওয়ার্কিং ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এই প্ল্যাটফর্মটি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করার পাশাপাশি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে স্টার্টআপ খাতের বিভিন্ন নীতিমালা নিয়েও আলোচনা করা হয়, যা বাংলাদেশে উদ্যোক্তা পরিবেশকে আরও কার্যকর ও সহায়ক করে তুলতে সহায়ক হবে। নেক্সাস মিটআপের সার্বিক সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এনকেভিসি এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মীর হাসিব মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে এনকেভিসির পোর্টফলিও স্টার্টআপ স্যাস কর্পোরেশনের ভিআইপি ট্যাপ প্রোডাক্ট উদ্বোধন করেন এনকেভিসির প্রেসিডেন্ট জন শাখাওয়াত চৌধুরী। ভিআইপি ট্যাপ এনএফটির মাধ্যমে স্মার্ট বিজনেজ কার্ড হিসেবে কাজ করবে। অনুষ্ঠানে তিনি কেক কেটে এই নতুন প্রোডাক্টের সূচনা করেন।
নেক্সাস মিটআপ এনকেভিসির স্টার্টআপ খাতের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিভঙ্গি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মাধ্যমে নতুন উদ্যোগগুলিকে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।