জাতীয়
চলে গেলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী
সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে তিনি রাজধানীর মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
হাসপাতালে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তার ছেলে মাহী বি চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তার বাবা রাত ৩টা ১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরে মাহী বি চৌধুরী জানান, শনিবার সকাল ৮টায় মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পরে বাদ জোহর বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনের বাইতুল আতিক সেন্ট্রাল জামে মসজিদে হবে দ্বিতীয় জানাজা। রোববার সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর স্টেডিয়ামে তৃতীয় জানাজা হবে।
এরপর বাদ জোহর গ্রামের বাড়িতে (দয়হাটা, মজিদপুর, মুন্সীগঞ্জ) চতুর্থ জানাজা শেষে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। গত বুধবার ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে রাজধানীর উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
৯৫ বছর বয়সী সাবেক রাষ্ট্রপতি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। তিনি আগেও একাধিকবার এ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানা যায়। নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। খ্যাতিমান চিকিৎসক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৮ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী। সেসময় তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন। জিয়াউর রহমান সরকারে উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন তিনি। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বিএনপির মনোনয়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপর ২০০৪ সালের ৮ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। সেই দলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাকিবকে গোপনে পাসপোর্ট সরবরাহের আয়োজন!
আলোচিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে পাসপোর্ট সরবরাহের আয়োজন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। গত ১৮ অক্টোবর কূটনৈতিক পাসপোর্টের পরিবর্তে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন করেছেন তিনি। দূতাবাসের দায়িত্বে থাকা চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মীযানুর রহমান, পাসপোর্ট কাউন্সেলর সাইফুল ইসলাম ও প্রথম সচিব মাজহারুল ইসলাম নিজেদের দায়িত্বে গোপনে পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।
জানা গেছে, পাসপোর্টের আবেদনের জন্য গোপনে দুবাই যান সাকিব আল হাসান। তার আগে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মীযানুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত করেন। পরে ১৮ অক্টোবর সকালেই দূতাবাসে যান সাকিব। দূতাবাসে পৌঁছালে প্রথমে তাকে গোপনে মীযানুর রহমানের কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে সময় নষ্ট না করে মীযানুর রহমান তাকে সঙ্গে করে পাসপোর্ট কাউন্সেলর সাইফুল ইসলাম ও প্রথম সচিব মাজহারুল ইসলামের কক্ষে নিয়ে যান। সেখান থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র ও প্রয়োজনীয় ফরম প্রস্তুত করে দেন কর্মকর্তারা।
সূত্র জানায়, সাকিব আল হাসান দূতাবাসে গিয়েছিলেন টি-শার্ট গায়ে দিয়ে। ফলে ছবি তোলার সময় বিব্রত বোধ করেন। পাসপোর্ট এনরোল করার সময় এক কর্মকর্তা নিজের ব্লেজার খুলে সাকিবকে পরিয়ে দেন। পরে দুই কর্মকর্তা সাকিবের সঙ্গে ছবি তোলেন। প্রসঙ্গত, সংসদ সদস্য হিসেবে সাকিব আল হাসান এতদিন কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) ব্যবহার করছিলেন। ১৮ অক্টোবর সেই পাসপোর্ট ত্যাগ করেন তিনি।
গোপনে পাসপোর্ট দেওয়ার বিষয়ে আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট কাউন্সেলর মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি মেইল এসেছে। সেখানে থেকে বলা হয়েছে সাকিব আল হাসানের ইস্যুটি দেখতে। উনিও (সাকিব) আমাদের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে তারপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। আপনি বরং চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মীযানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’
মীযানুর রহমানকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করা হয়। ফোনটি রিসিভ হলেও কোনো কথা শুনতে পাওয়া যায়নি। কিছু সময় পর মীযানুর রহমান মেসেজ পাঠান, ‘হোয়াটসঅ্যাপের কল এখানে কাজ করছে না।’ তিনি মেসেজ পাঠাতে অনুরোধ করেন। তখন সংবাদমাধ্যমের পরিচয় দিয়ে সাকিব আল হাসানের পাসপোর্টের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়; কিন্তু এবার আর তিনি মেসেজ সিন করেননি।
জানা যায়, সাকিব আল হাসান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন। এ জন্য মামলা হওয়ার পরও তার দেশে ফেরার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত ছিল। সেজন্য তিনি প্রথমে দুবাই যান। তখন বিষয়টি গোপন রাখা হয়। নিরাপত্তার কারণে তাকে দেশে প্রবেশের বিষয়ে অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান সাকিব আল হাসান; কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেশে আসা সম্ভব না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর পরই নতুন পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
জুলাই-আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত পোশাককর্মী রুবেল হত্যা মামলার আসামি সাকিব আল হাসান। গত ৫ আগস্ট রিং রোডে মিছিলে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ৭ আগস্ট হাসপাতালে মারা যান রুবেল। গুলি করার নির্দেশদাতা হিসেবে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ডিএমপির আদাবর থানায় হত্যা মামলা হয়। সাকিবকে মামলার ২৮ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছোড়ে। এরপর সাকিবকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয় নতুন করে।
এদিকে গত ৬ নভেম্বর সাকিব আল হাসান এবং তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
খালেদা জিয়ার দশ বছরের সাজা স্থগিত
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন আদালত। সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা পৃথক লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ওপর আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ রোববার আদেশের এ দিন ধার্য করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন।
রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।
পৃথক লিভ টু আপিল ৩ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত পৃথক লিভ টু আপিল আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় পৃথক লিভ টু আপিল শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী কায়সার কামাল শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান শুনানিতে অংশ দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কপ ২৯ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ বাকুতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কপ ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে আজ সোমবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন।
প্রেস সচিব জানান, সফরে প্রধান উপদেষ্টা ব্যস্ত সময় পার করবেন। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাকুতে নিজেদের দাবিদাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, সেসব বিষয় তিনি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন।
শফিকুল আলম বলেন, ইউনূস কপ ২৯ জলবায়ু সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য দেবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হবে এ সম্মেলনে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় বিদেশ সফর। তাঁর প্রথম সফর ছিল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
আরও ১১৮ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল
তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) নতুন করে আরও ১১৮ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার মোট ১৬৭ সাংবাদিকের কার্ড বাতিল করল।
গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের কাছে অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান তথ্য অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মো. নিজামূল কবীর।
এতে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৬.৯, ৬.১০, ৯.৫ ও ৯.৬ এর আলোকে এসব সাংবাদিক ও ব্যক্তিদের অনুকূলে তথ্য অধিদপ্তর থেকে এর আগে ইস্যু করা স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হলো।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ২০ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। পরে ৩ নভেম্বর আরও ২৯ জনের কার্ড বাতিল করে সরকার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শপথ নিলেন নতুন ৩ উপদেষ্টা, কে কোন দপ্তর পেলেন
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন তিন উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। এ নিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। নতুন তিন উপদেষ্টার দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ নেওয়ার পর রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের দপ্তর বণ্টন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।
মাহফুজ আলমকে কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় নিয়োগ পান ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা ওইদিন শপথ নিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন।