ভারতে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা পেয়েছে বাংলা ভাষা। বাংলাসহ মোট পাঁচটি ভাষাকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ভারতের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হয়। দিল্লির সংবাদমাধ্যম এবং জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলা, মারাঠি, পালি, প্রাকৃত ও অসমীয়া ভাষাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায়। এর আগে সংস্কৃত, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম, কন্নড় ও ওড়িয়া ভাষাকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
এ নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ভারতের অত্যন্ত সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার ক্ষেত্রে এটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। প্রকৃত বৈজ্ঞানিক তথ্য, গবেষণা ও ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভবিষ্যতেও অন্য ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে একই মানদণ্ড ব্যবহার করা হবে।
বাংলা ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উচ্ছ্বাসিত হয়ে তিনি বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, দীর্ঘ লড়ায়ের পর আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে ভারত সরকার একটি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। অনেকদিন ধরে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই সংক্রান্ত গবেষণালব্ধ বিপুল তথ্য জমা দিয়ে দাবি করেছিলাম যাতে বাংলা ভাষাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। অন্য রাজ্যের ভাষা আগে এই স্বীকৃতি পেলেও বাংলাকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, আমাদের সরকার ভারতের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার কাজ করে। আমরা আঞ্চলিক ভাষাগুলোকে জনপ্রিয় করতে দায়বদ্ধ। অসমীয়া, বাংলা, মারাঠি, পালি ও প্রাকৃতকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা, আমি অত্যন্ত খুশি। এ ভাষাগুলো অপূর্ব, তারা আমাদের অসাধারণ বৈচিত্র্যের সাক্ষী।