আন্তর্জাতিক
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত জাতিসংঘের মহাসচিব
চলতি ২০২৪ শালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে মনোনীত করেছে নরওয়ের নোবেল পুরস্কার প্রদান কমিটি। সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।
জাতিসংঘ মহাসচিবের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিবেদিত জাতিসংঘের সংস্থা দ্য ইউনাইটেড নেশন্স প্যালেস্টাইনিয়ান রেফিউজি এজেন্সি (আনরোয়া) এবং জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ড অব জাস্টিকেও (আইসিজে) নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত প্রতি বছর শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র এবং অর্থনীতি— এই পাঁচটি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের প্রদান করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। শান্তি ব্যাতীত বাকি ৪টি খাতে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন এবং প্রদানের ব্যাপারটি দেখভাল করে সুইডিশ রয়্যাল একাডেমি; আর শান্তিতে নোবেলের প্রার্থী মনোনয়ন ও পুরস্কার প্রদানের দায়িত্বে রয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। আগামী ১১ অক্টোবর থেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা শুরু হবে।
সূত্রের বরাতে জানা গেছে, শান্তিতে চলতি বছরের নোবেলের জন্য রাশিয়ার সাবেক বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিও সম্ভাব্য মনোনীতদের তালিকায় ছিলেন। কিন্তু পরে উভয়কেই বাদ দেওয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
পাশের দেশ ভারতে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ৩০-৪০ রুপি বেড়ে পাইকারি বাজারে এখন তার দাম উঠেছে ৭০-৮০ রুপিতে। ফলে ভোক্তাদের রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমস’র।
দিল্লির একজন বিক্রেতা বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, পাইকারি বাজার থেকেই তাদেরকে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে, ফলে খুচরাতেও দাম বেশি পড়ছে। দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে বিক্রি খানিকটা কমেছে। কিন্তু বিকল্প নেই বলে মানুষকে কিনতেও হচ্ছে।
দিল্লির একজন ক্রেতা ফায়জা বলেন, মৌসুমের কারণে এখন পেঁয়াজের দাম যখন কমার কথা, তখন উল্টো দাম বেড়ে চলেছে। এক কেজি পেঁয়াজ ৭০ রুপিতে কিনতে হয়েছে। দামের কারণে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ব্যাহত হচ্ছে। তবে শুধু দিল্লি নয়, পেঁয়াজের দাম বাড়ছে আরেক বড় শহর মুম্বাইয়েও। সেখানকার ক্রেতারাও উচ্চ মূল্যের চাপে পড়েছেন।
মুম্বাইয়ের একজন ক্রেতা এএনআইকে বলেন, পেঁয়াজ ও রসুন উভয়েরই দাম বেড়েছে। এর ফলে প্রতিটি পরিবারকেই অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। তিনি জানান, তিনি পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন, মোট দাম দিতে হয়েছে ৩৬০ রুপি।
আকাশ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, পেঁয়াজের দাম অনেকটা বেড়ে ৭০-৮০ রুপিতে উঠেছে, যা কিছুদিন আগেও কেজিপ্রতি ৪০–৬০ রুপি ছিল। তিনি একে শেয়ারবাজারের সূচকের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন যে এই দামের ওঠা–নামা আছে। তার আশা, পেঁয়াজের দাম শিগগির কমে যাবে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পেঁয়াজের দাম বাড়লেও ক্রেতারা তা কিনছেন। কারণ, সাধারণ মানুষের কাছে পেঁয়াজ একটি নিত্যপণ্য।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৬০ শতাংশ কমালো আদানি
বাংলাদেশের থেকে পাওনা ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বকেয়া আদায়ের চেষ্টা করছে আদানি গ্রুপ। এমন সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এ তথ্য জানায় বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র। এছাড়া বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ডাটা থেকেও জানা গেছে এই তথ্য।
গত মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয় আদানি। এখন নতুন করে আরও ১০ শতাংশ কমিয়েছে তারা।
শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাতে ঝারখণ্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে আদানি। গত আগস্ট মাসেও এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠিয়েছে গ্রুপটি। কিন্তু বকেয়া জমে যাওয়ায় অক্টোবরের শেষ দিকে এটি ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে তারা। আর গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশে মাত্র ৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করছি। কেউ যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহকারীকে আমাদের জিম্মি করতে দেব না।”
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আদানির বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা তুলে দেওয়া এবং বাংলাদেশের বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা ত্বরান্বিত করার পরও আদানির কাছ থেকে কম বিদ্যুৎ আসছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে আদানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে গ্রুপের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। কিন্তু আদানির একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের চাহিদা এবং একইসঙ্গে বকেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর কয়লার দাম বেড়ে গেলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধে হিমশিম খাওয়া শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর গণ আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বকেয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।
মিডিয়াতে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কর্মকর্তা এবং আদানি গ্রুপের সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ
মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে বৈরী আবহাওয়া এবং জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে কৃষি উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা খাদ্য বাজারকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
অক্টোবরে বৈশ্বিক খাদ্যের মূল্য ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। সেপ্টেম্বর তুলনায় অক্টোবরেমূল্য বৃদ্ধির হার ২ শতাংম বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স অক্টোবর মাসে ১২৭ দশমিক ৪ পয়েন্টে পৌঁছায়। এটি এপ্রিল ২০২৩-এর পর থেকে সর্বোচ্চ রেকর্ড। সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালের অক্টেবরে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের যে দাম ছিল, তার তুলনায় চলতি ২০২৪ সালের অক্টোবরে তা বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে বৈরী আবহাওয়া এবং জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে কৃষি উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা খাদ্য বাজারকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
এই মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে ভোজ্য তেল। অক্টোবর মাসে ভোজ্য তেলের মূল্য ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দুবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রত্যাশার চেয়ে কম উৎপাদনের কারণে পাম, সয়াবিন, সূর্যমুখী ও সরিষার তেলের মূল্য বেড়েছে।
শস্যের মূল্য দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে, অক্টোবর ২০২৩-এর তুলনায় শস্যের মূল্য এখনও ৮ দশমিক ৩ শতাংশ কম।
ডেইরি এবং দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্য ১ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধির ফলে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। চিনির দাম অক্টোবর মাসে ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। ব্রাজিলে খরার কারণে চিনির উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে এবং জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিও এর একটি বড় কারণ। তবে, গত বছরের তুলনায় চিনির মূল্য এখনও ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ কম।
মাংসের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। অক্টোবরে মাংসের মূল্য দশমিক ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে, গত বছরের তুলনায় মাংসের মূল্য ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি রয়েছে। পশ্চিম ইউরোপে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু বাজারে চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনের শীর্ষ ধনী বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী ঝং শানশান
চীনের বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নংফু স্প্রিং-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ঝং শানশান টানা চতুর্থ বছরের মতো চীনের শীর্ষ ধনীর মর্যাদা ধরে রেখেছেন। সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিন থেকে প্রকাশিত চীনের শীর্ষ ধনীর তালিকায় তিনি প্রথম স্থানে রয়েছেন।
নিজেদের চীনের সবচেয়ে বড় বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দাবি করা নংফু স্প্রিং সম্প্রতি বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। অনলাইন আক্রমণের পাশাপাশি চীনের বোতলজাত পানির বাজারে তীব্র মূল্যযুদ্ধের মুখোমুখি হতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে।
গত বছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মূল্য ২৮ শতাংশ কমে যায়। ফলে, ঝং শানশানের সম্পদ ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়ে ৫০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে হ্যাংঝৌ ওয়াহা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ঝং চিংহোউ মারা যাওয়ার পর থেকে নংফু স্প্রিংয়ের সমস্যাগুলো শুরু হয়। চিংহোউ ছিলেন ঝং শানশানের সাবেক ব্যবসায়িক অংশীদার।
তার মৃত্যুর পর অনেকেই অনলাইনে ৬৯ বছর বয়সী ঝং-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। ঝং একসময় ওয়াহা গ্রুপের একজন পরিবেশক ছিলেন এবং পরে একটি প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসা শুরু করেন।
অভিযোগকারীরা নংফু স্প্রিংয়ের বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক দেন এবং ঝং-এর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অভিযোগ ওঠে, ঝং-এর সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী, তার ৩৬ বছর বয়সী পুত্র শু জি মার্কিন নাগরিক হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে তার চীনা পরিচয় হারাবে। প্রতিষ্ঠানটির ২০২০ সালের প্রসপেক্টাসে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছিল।
নংফু স্প্রিং এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বারবার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আগস্ট মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন সিসিটিভি-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঝং বলেন, তিনি নিজ থেকে এই অবস্থানে এসেছেন এবং তার “প্রতিটি পয়সা সৎ উপায়ে উপার্জন করা।” এছাড়াও তিনি জোর দিয়ে বলেন, নংফু স্প্রিং “চিরকাল চীনেরই থাকবে।”
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অবৈধ অভিবাসীদের গণহারে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাস করা লাখ লাখ মানুষকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে তার কিছু করার নেই। তাদের তিনি ফেরত পাঠাবেনই।
ট্রাম্প বলেন, অবৈধদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি কোনো পণ্যের মূল্যতালিকা নয়। এটি সত্যিই এমন কিছু নয়। আমাদের আসলে কিছু করার নেই। যখন কেউ খুন ও হত্যা করে, যখন মাদক সম্রাটরা দেশকে ধ্বংস করেছে, তখন তাদের সেসব (নিজ) দেশে ফেরত যেতে হবে। কারণ তারা আর এখানে থাকবে না।
এদিকে ট্রাম্প লাখ লাখ মানুষকে ফেরত পাঠাতে চাইলেও বিষয়টি এত সহজে হবে না বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তারা বলেছে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকার আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করতে চায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিশাল এবং ব্যয়বহুল লজিস্টিকজনিত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ১০ লাখ মানুষকে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রকে কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে।
ট্রাম্প যখন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হন তখন বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে অভিযান চালানো হতো। ২০২১ সালে বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর বিতর্কিত এই অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে গত এক দশক ধরে বছরে ১ লাখের কম অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার সময় এটি বছরে ২ লাখ ৩০ হাজারে পৌঁছেছিল।