পুঁজিবাজার ভিত্তিক অনলাইন সংবাদ মাধ্যম অর্থসংবাদের লোগো ও ছবি ব্যবহার করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের খবর ছড়ানো হয়। যেটি অর্থসংবাদের তৈরি নয়। বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে ছড়িয়ে পড়া বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের খবরটি গুজব এবং এর সঙ্গে অর্থসংবাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
বুধবার (০২ অক্টোবর) এ গুজব ছড়ানোর ফলে বিষয়টি বিএসইসির দৃষ্টিতে আসে এবং এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয় এ তথ্যটি সঠিক নয়।
এদিন বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বিনিয়োগকারীদের মানবন্ধন চলাকালীন সময়ে পুঁজিবাজার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম অর্থসংবাদের লোগো ও ছবি ব্যবহার করে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের গুজব ছড়ানো হয়।
এর আগে, গত ১৮ আগস্ট পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। চেয়ারম্যান হিসেবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের মেয়াদ হবে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ৪ বছর। আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে সে মাসের ১১ তারিখ বিএসইসির চেয়ারম্যান পদ থেকে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম পদত্যাগ করেন। পরদিন পদত্যাগ করেন সংস্থাটির দুই কমিশনার।
রাশেদ মাকসুদকে নিয়োগের আগে অবশ্য গত ১৩ আগস্ট সরকার নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. এম মাশরুর রিয়াজকে বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছিল। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছিল অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তবে সেসময়কার এক বিবৃতিতে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানে অপরাগতা প্রকাশ করেন এম মাশরুর। পরে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ পদত্যাগী চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হন।
এসএম