দেশে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ ঘোষণা হলেও ২২ বছরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে নানা পদক্ষেপ নেন। অবশেষে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ বিষয়ে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন।
পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে দেশের কোনো সুপারশপে পলিথিন ব্যাগ রাখা যাবে না। এর পরিবর্তে পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে ঢাকার ১০টি কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যবহার বন্ধে কার্যক্রম শুরু হবে। দেশব্যাপী পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সুপার শপে নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বর্জন কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য সুপারশপ পরিদর্শন করবেন।
বিকেলে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডে আগোরা (জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল সংলগ্ন) এবং ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে মীনা বাজার সুপার শপ পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। নিজ দায়িত্বে সবাইকে পলিথিন পরিহার করতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।
রোববার নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প পণ্য সামগ্রী নিয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, আইন অনুযায়ী পলিথিন বর্জনের কার্যক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। শপিং সেন্টার ও দোকান মালিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ কার্যক্রম চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যে সচিবালয়কে প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা করা হবে।