ক্যাটাগরি: জাতীয়

দেশের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল সংরক্ষণ করতে হবে: রিজওয়ানা

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন আমাদের দেশে বন উজাড়ের হার অনেক বেশি। আমাদের প্রকৃতিক বনাঞ্চল সংরক্ষণ করতে হবে। এমন গাছ লাগাতে হবে, যা পরিবেশের জন্য উপযোগী।

আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ, পলিথিন ও এসইডিপি বর্জন বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান, উপ-উপাচার্য শিক্ষা অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, উপ-উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আহসান হাবীব, উদ্ভিদ বিভাগের অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে অতিথিরা মলচত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের দেশে বন উজাড়ের হার অনেক বেশি। আমাদের প্রকৃতিক বনাঞ্চল সংরক্ষণ করতে হবে। এমন গাছ লাগাতে হবে, যা পরিবেশের জন্য উপযোগী। বিশেষজ্ঞদের দ্বারা গাছের কিছু প্রজাতি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা রোপণ করতে নিরুৎসাহিত করব। দক্ষিণাঞ্চলে বনাঞ্চলের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমরা অনেক বার রক্ষা পেয়েছি। সেদিকের অবস্থাও আমাদের জোরদার করতে হবে।

পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে তিনি বলেন, বেশ কয়েকবার জোর তদারকির কারণে আমরা পলিথিন ব্যবহার কমাতে পেরেছিলাম। কিন্তু তদারকির অভাবে তা আবার বেড়েছে। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে পলিথিন ব্যবহার কমলে আমরা ব্যবহার কমাতে পারব।

তিনি বলেন, একক ব্যবহৃত প্লাস্টিকের কারণে পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের শরীরেরও ক্ষতি করছে। আমাদেরকে এই চর্চা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির অবাধ ব্যবহারের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই চলতি মডেলেই সীমাবদ্ধ থাকব নাকি টেকসই মডেলের কথা ভাবব, তা নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের পাশাপাশি নিজেদের গাছ লাগানোর প্রতি জোর দিতে হবে। বনাঞ্চলের গুরুত্ব ও উপকারিতা বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তিনি।

কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার