ছাত্ররাজনীতি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিলো বুয়েট প্রশাসন

শিক্ষার্থীরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রশাসন। শিক্ষার মান, মেধার যথাযথ মূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বুয়েটকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে উন্নীত করার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুয়েট অর্ডিন্যান্সের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের ১৬ নম্বর ধারায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ৫০৩তম জরুরি সভায় সর্বোপরি রাজনীতির লেজুড়বৃত্তায়ন নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

তাতে বলা হয়েছে, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্লাব বা সোসাইটি ব্যতীত কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি অথবা অন্য যে কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হতে পারবেন না। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের নিয়মসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং তা অমান্য করলে অধ্যাদেশে বর্ণিত নিয়ম মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের কারণে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে বুয়েট। এরপর চলতি বছরের শুরুতে আবারও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ওঠে। সেসময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা রাতে বুয়েটে প্রবেশ করেন এবং রাজনীতি চালুর দাবি তোলেন। এ নিয়ে প্রায় দেড়মাস বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল।

তাছাড়া সবশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের আন্দোলনে জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেশের অন্যতম শীর্ষ এ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা সেশনজটের মুখে পড়েছেন।

এদিকে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর বুয়েটে স্বাভাবিক ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়। একই সঙ্গে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়। ঠিক সেই সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দুজন শিক্ষার্থীকে হলে তোলাকে কেন্দ্র করে আবারও সংকট তৈরি হয়।

ফলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা কার্যকরের দাবিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আসছেন। শিক্ষার্থীর সেই দাবি মেনে ফের রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা জানালো বুয়েট প্রশাসন।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার