পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের কাছে আমরা পৌঁছাতে পারছি না। এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইস ছিলো রেগুলেটরি ব্যর্থতা। ফ্লোর প্রাইস পদ্ধতি পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে বলে জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ‘Bi-annual Economic State & Future Outlook of Bangladesh Economy- Private Sector Perspective’- শীর্ষক এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এসব কথা বলেন ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদ।
ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ফার্মাসিউটিক্যালসে খাতের মাত্র ৪-৫ টা কোম্পানি তালিকাভুক্ত। এ খাতসহ অন্যান্য খাতের ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে উৎসাহ দেওয়ার মতো কিছু নেই। বন্ড মার্কেট আইপিও মার্কেটের ২০ গুণ হলেও এখানে লেনদেন হচ্ছে না। বন্ড মার্কেটে নামকাওয়াস্তে সামান্য লেনদেন হয় বলেও জানান তিনি।
আশরাফ আহমেদ বলেন, সুদহার বাড়িয়ে সাময়িকভাবে মূল্যস্ফীতি কমানো যায়। অপরদিকে সুদহার বৃদ্ধি পেলে ঋণ প্রবাহ কমে যায়। পাশাপাশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানও কমবে। তাই সুদহার বৃদ্ধির এ প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে অনুসরণ করা ঠিক হবে না। এসএমই খাতে ঋণের সংকট রয়েছে। তাই এ খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানো দরকার। আমাদের ফরেন ট্রেড ক্রেডিটের পরিমাণও কমে গেছে।
ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন বড় আকারে হবে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে বলে জানান ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, টাকার বড় বড় দরপতনের পরিবর্তে ছোট ছোট দরপতন হবে। এটা একটি স্বস্তির বিষয়। রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য অনেক পথ খোলা রয়েছে। দেশের ঋণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঋণ ফেরত দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে ট্যাক্স রেভিনিউ বাড়াতে হবে।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইউনিটের পরিচালক (গবেষণা) ডঃ মোঃ সেলিম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (RAPID) নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (BIDS) এর সাবেক মহাপরিচালক ডক্টর খান আহমেদ সাঈদ মুরশিদ।