ক্যাটাগরি: অর্থনীতি

দেশে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৪৪৫ কোটি ডলার

দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। প্রবাসীরা এখন গত কয়েক মাসের তুলনায় বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। প্রবাসী আয় বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে। তবে নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ) এখনো ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করতে পারেনি। বর্তমানে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪৪৫ কোটি মার্কিন ডলার (১৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার)।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৪৬৭ কোটি মার্কিন ডলার বা ২৪ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন এক হাজার ৯৫৬ কোটি ডলার ( ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন)। গত সপ্তাহে অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ ছিল ১৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন। সেই হিসাবে রিজার্ভ সামান্য বেড়েছে।

রিজার্ভ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, গত জুলাই থেকে আগস্ট মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। প্রবাসীরা বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, রিজার্ভের পতন থামানো গেছে। এখন বাড়ছে।

গ্রস রিজার্ভ ও বিপিএম-৬ এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করে না। চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ আছে এক হাজার ৪৪৫ কোটি মার্কিন ডলার (১৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার)। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে না। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকে সেপ্টেম্বরের জন্য বেঁধে দেওয়া ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্য ১৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।

দেশে চলমান সংকট কাটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করার ঘোষণা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু চাহিদা ঠিক রাখতে গিয়ে প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে চলতি সেপ্টেম্বরেও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রির করেছিল ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। তার আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিক্রি করে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের ছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।

এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার