পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতে ভারতের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকে বসা হবে। অভিন্ন জলরাশিতে কত ধরনের স্থাপনা রয়েছে, কতটুকু বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং পানির পরিমাণ কত– এই তথ্যগুলো আমাদের পেতেই হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নদীর ক্ষেত্রে কোনো দেশেরই এমন কথা বলার সুযোগ নেই যে এই নদী শুধু আমারই। আমার মানুষদের পানি দিয়ে পরে আমি অন্য মানুষের কথা ভাবব, এটা বলার কোনো সুযোগ নেই।
আজ বুধবার রাজধানীর গ্রিন রোডের পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার’ বিষয়ক বিশেষ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আন্তর্জাতিক নদীতে আমার ভাগের একটি হিসাব রয়েছে। আমরা পানির এই হিস্যা নিয়ে জনমানুষের কথা শুনে আলোচনার পয়েন্টগুলো নির্ধারণ করব। আমরা অবশ্যই ভারতের সঙ্গে বসে এসব বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করব। আলোচনার সূত্রপাতে আমরা খুব দেরি করব না, শিগগিরই করতে চাই। তবে এই মুহূর্তে আরও কিছু বিষয় বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কারণে এটির (ভারতের সঙ্গে আলোচনা) হয়ত আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
উপদেষ্টা বলেন, উজান থেকে পানি আসার তথ্য জানার জন্য আন্তর্জাতিক আইন থাকার দরকার নেই। এটা আমাদের প্রথাগত অধিকার। আমরা বন্যা আটকাতে পারব না। কিন্তু আগাম তথ্য জানলে সতর্ক হতে পারব। জলবায়ু পরিবর্তনের এসময়ে প্রলয়ংকরী বন্যা বাড়বে। তাই ভারত, নেপাল, চায়না থেকে আমাদের এসব তথ্য পেতে হবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক এবং পরিবেশবাদী সংগঠন বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা।
কাফি