দেশে এত দুর্বল ব্যাংক এবং নন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান থাকুক তা চান না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, লিলিপুটের মতো অনেক ছোট ছোট ব্যাংক এখানে রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে যারা কোনো গণনায় থাকে না।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রথম আলো আয়োজিত ‘ব্যাংক খাতকে কোথায় দেখতে চাই’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দুর্বল ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ জানতে চাওয়া হলে গভর্নর বলেন, ব্যাংকগুলোর সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হবে। তাদের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য বিশ্লেষণ করা হবে। তবে এখনই বলতে পারব না কোন ব্যাংক থাকবে আর কোন ব্যাংক থাকবে না। ব্যাংক মার্জারের জন্য আমরা রিকমেন্ডেশন করব। এটা নিজ উদ্যোগে হলে ভালো। প্রয়োজন পড়লে নিজেরাও উদ্যোগ নেব। কিন্তু এটার জন্য সামগ্রিক রাজনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন। সরকার এসব বিষয় নিয়ে হয়তো ভাববে। কারণ কোনো মালিকই চাইবে না মালিকানাহীন হতে। এজন্য সময় প্রয়োজন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংক খাতের সংস্কারের জন্য তিনটি টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। বেশ কিছু ব্যবস্থা এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কিছু ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন। পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ১০ থেকে ১১টি দুর্বল ব্যাংক নিয়মিত তদারকির আওতায় আনা হয়েছে। এসব ব্যাংক প্রতিদিন ২০টি বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, এসব পদক্ষেপ নেওয়ার পর ব্যাংকগুলোতে আমানত ৮০০ কোটি টাকা বেড়েছে। এটা বড় স্বস্তির একটি বিষয়। টাকার সংকট কেটে গেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে যাব।
গভর্নর আরো জানান, ব্যাংক কোম্পানি আইনও সংস্কার করা হবে। তবে এখন না। আরো বিভিন্ন ধরনের সংস্কার একবারে নিয়ে আমরা সরকারের কাছে যাব। বারবার সংস্কার করার জন্য সরকারের কাছে যাব না। সেজন্য সব কিছু রেডি হলে তখনই সংস্কার কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানো আমার প্রধান দায়িত্ব। এটা কমাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মুদ্রানীতি ইতিমধ্যে কঠোর আছে, আরও কঠোর করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ব্যবসার ক্ষেত্রে সাময়িক অসুবিধা হলেও মুদ্রাস্ফীতি কমে আসবে এবং এর ফলে সামগ্রিক অর্থনীতি লাভবান হবে।
এমআই