ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) লালন শাহ আবাসিক হলে রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে সীরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লালন শাহ হলের টিভি রুমে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে লালন শাহ হল আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
এসময় লালন শাহ হলের শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না অলির সঞ্চালনায় দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ. ছ. ম তরিকুল ইসলাম, আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন, আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মুহম্মদ মুজাহিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইটসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত ১৫ বছরে একটি সরকার তার শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়ে ফ্যাসিস্ট কায়দায় সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে কব্জা করে নিয়েছিলো। সেই জায়গা থেকে আমরা ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বের হয়ে আসতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ধার্মিকতা বজায় থাকুক, এরকম আরও সুন্দর সুন্দর আয়োজন হোক। আমাদের সুন্দর এই ক্যাম্পাসে সুস্থ সংস্কৃতির ধারা আবারও ফিরে আসুক।
এসময় অধ্যাপক ড. আ. ছ. ম তরিকুল ইসলাম বলেন, গুণী, মনিষী, বিদ্বান, পন্ডিত, ধর্মযাজক আরও অনেক বিশিষ্টজন এসেছেন। তাদের জন্ম, মৃত্যু, আদর্শ সহ অনেককিছু নিয়ে আলোচনা করা হয়। আজকে যে আমরা হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে নিয়ে আলোচনায় এসেছি। মুহাম্মদ সা. কে? কেউ মনে করেন তিনি একজন ধর্মযাজক ছিলেন। শুধু কি একটা যুদ্ধের ময়দানে সেনাপতি বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ কেউ ছিলেন? নিশ্চয়ই না। সার্বিক বিবেচনায় মুহাম্মদ সাঃ এর সকল কিছুকেই একত্রিত করলে যে একটি বিশেষ চিত্র দেখা যায় সেটিই ছিলো মুহাম্মদ সাঃ এর বাস্তব রূপ।
এসময় লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, আমরা মুসলিম শ্রেনী প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে নৈতিকতা গ্রহণ করে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শে বলীয়ান হয়ে চলি তাহলে এদেশে আর কোনোদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করতে হবেনা। প্রত্যেককে তার নিজের জায়গা থেকে শুরু করতে হবে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা পরিবেশনা করে ব্যাতিক্রম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জোট এবং সেখানে শিক্ষানীয় ও সচেতনতামুলক গান ও অভিনয় পরিবেশন করে।
এমআই