পুঁজিবাজার
বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট তারেকের পদত্যাগ
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিআইসিএম পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দপ্তরে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
বিআইসিএম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক ব্যক্তিগত কারণে আজ পদত্যাগ করেন। এর আগে গত ০১ ফেব্রুয়ারি তিনি বিআইসিএম এর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট পদে যোগদান করেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি এবং জাপানের সুকুবা ইউনিভার্সিটি থেকে ফাইন্যান্সে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ থেকে বিবিএ (মেধা তালিকায় ২য় স্থান) ও এমবিএ (মেধা তালিকায় ১ম স্থান) ডিগ্রি অর্জন করেন।
দুই দশকের ক্যারিয়ারে তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টিংয়ের (এমপিএ) পরিচালক, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) বোর্ড অব গভর্ন্যান্সের সদস্য এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্বনামধন্য জার্নালে তার ১৬টি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে এবং তার লেখা ৬টি গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লেনদেন বাড়লেও আরও পুঁজি হারালো বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (০১ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। তবে আলোচ্য সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের মূলধন বা বাজার মূলধন আরও কমেছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিলো ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আর সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ০ দশমিক ১০ শতাংশ বা ৬৫১ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইর দুই সূচক কমেছে। চলতি সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০৮ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে প্রধান সূচকটি দাড়িয়েছে ৫ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে। এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ২২ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ২৫ শতাংশ।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৩১৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৪৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৮১ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৬টি কোম্পানির, কমেছে ১৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সোনালী সিকিউরিটিজের লেনদেন স্থগিত
পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএসইর ট্রেক হোল্ডার সোনালী সিকিউরিটিজ লিমিটেডের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ইক্যুইটি ঘাটতিতে থাকায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন স্থগিত করেছে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ফলে গত তিনদিন ধরে ট্রেকটির লেনদেন বন্ধ রয়েছে। সোনালী সিকিউরিটিজের মালিকানায় রয়েছেন শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সোনালী পেপারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস।
গত রবিবার (১ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রবাবর এ সংক্রান্ত এক চিঠি পাঠিয়েছে ডিএসই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ব্রোকারেজ হাউজটি পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নিট অর্থ বা ইক্যুইটি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, স্টক ব্রোকার ও ডিলারের ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীদের নিবন্ধন সনদ ইস্যু এবং নবায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ ইক্যুইটি থাকার শর্ত থাকলেও সোনালী সিকিউরিটিজ তাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ব্রোকারেজ হাউজটির নিবন্ধন সনদ নবায়ন না করে ট্রেকের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ডিএসইকে নির্দেশ দেয় বিএসইসি। ফলে গত ২ ডিসেম্বর ব্রোকারেজ হাউজটির লেনদেন বন্ধ করে ডিএসই। যা এখনও পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, বর্তমানে স্টক ব্রোকার ও ডিলারের ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীদের নিবন্ধন সনদ ইস্যু এবং নবায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ সার্বক্ষণিক নিট অর্থ বা ইক্যুইটি রাখতে হবে। ফলে, স্টক ব্রোকার ও ডিলারের পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ঘাটতি বা লোকসান থাকতে পারবে। এর বেশি হলে সেই ব্রোকার ও ডিলারের সনদ বাতিল করা হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অর্থসংবাদকে বলেন, ব্রোকারেজ হাউজটি নিবন্ধন সনদ নবায়নের জন্য বিএসইসিতে আবেদন করে। তবে ইক্যুইটি ঘাটতিতে থাকায় নিবন্ধন সনদ নবায়ন না করে বিএসইসি থেকে ডিএসইকে চিঠির মাধ্যমে অভিহিত করা হয়। সেই সঙ্গে সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। ফলে পর্যাপ্ত ইক্যুইটি ঘাটতিতে থাকায় গত ২ ডিসেম্বর লেনদেন স্থগিত করা হয়।
এবিষয়ে জানতে সোনালী সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহসানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে অর্থসংবাদের পরিচয় পেয়ে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে পরে কথা বলবেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিআইসিএমের ১৭তম এজিএম সম্পন্ন
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডের বিজিআইসি টাওয়ারে অবস্থিত বিআইসিএমের সম্মেলন কক্ষে এই এজিএম অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এজিএমে সভাপতিত্ব করেন।
ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুছ সালেহীন ও বিআইসিএমের অন্যান্য সদস্যগণ বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে মোনার্ক হোল্ডিংসকে জরিমানা
পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউজ মোনার্ক হোল্ডিং লিমিটেডকে জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মূল ব্যবসার বাইরে বিনিয়োগ করার প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৩৪ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে বিএসইসির নিবাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মূল ব্যবসার বাইরে বিনিয়োগ করায় মোনার্ক হোল্ডিংকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মোনার্ক মার্ট এবং সফটাভিন লিমিটেড-এ বিনিয়োগ করা অর্থ মোনার্ক হোল্ডিংয়ের হিসাবে ফেরত আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, কমিশন সভায় আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ অর্থ ফেরত আনতে ব্যর্থ হলে প্রতিদিনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার কারসাজির দায়ে ৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে কারসাজির দায়ে ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসি’চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৩৪ তম কমিশন সভা গত (৩ ডিসেম্বর) কমিশনের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ফর্চুন সুজের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অক্টোবর ২০২১ তারিখ হতে ২৭ অক্টোবর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে মো: আবুল খায়েরকে ২ কোটি ৩০ লাখ, মোঃ আবুল কালাম মাতবরকে ৪ কোটি ১৫ লাখ, কাজী সাদিয়া হাসানকে ১১ লাখ, কোনিকা আফরোজকে ১ লাখ, ডিআইটি কোপারেটিভ লিমিটেডকে ১২ লাখ, আলিয়া বেগমকে ১ লাখ, মহাম্মদ বাসারকে ১ লাখ, মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডকে ১ লাখ, সাজিদ মাতবরকে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।