রাজধানীর তেজগাঁও থানার হত্যা মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ৭ জনকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের কারাগারে পাঠানোরও আদশে দেন।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাংবাদিক দম্পতি সাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা।
এর আগে, কোটা আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলায় গত ২৫ আগস্ট বিকেলে উত্তরার একটি বাসা থেকে ইনুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এ ছাড়া গত ১৪ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে জুনায়েদ আহমেদ পলক, গত ১৯ আগস্ট রাজধানীর রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ২১ আগস্ট ঢাকা বিমানবন্দর থেকে শাকিল ও রুপা, ২২ আগস্ট রাজধানীর বনানীর নিজ বাসভবন থেকে রাশেদ খান মেনন এবং ৩ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে ঢাকা থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গত ১৩ আগস্ট সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর একে একে আওয়ামী লীগের অনেকে এমপি-মন্ত্রী ও নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।