বিশ্ববিবেক নড়ানো ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে পরে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু হলেও এখনো উপাচার্য নিয়োগ হয়নি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)। শিক্ষা-কার্যক্রমের এই অচলাবস্থা নিরসনে এবং উপাচার্য নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতার প্রতিবাদে ফের বিক্ষোভ মিছিল ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে ঐতিহাসিক বটতলার প্রাঙ্গনে সমবেত হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে গিয়ে কুষ্টিয়া খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্রসমাবেশ করে তারা। ঘন্টাখানেক সময় অবরুদ্ধ কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে এসময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা সবাই যখন স্বর্গে, ইবি কেন মর্গে; ঢাবি, জাবি ভিসি পায়, ইবি কেন পিছিয়ে যায়; ভিসি নিয়ে নয় ছয়, আর নয় আর নয়; ভিসি ভিসি ভিসি চাই, ইবিতে ভিসি চাই ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের হাতে সংস্কারমনা ভিসি চাই; সেশনজট নিরসন চাই; বিশ্বমানের ভিসি চাই, শিক্ষার্থীবান্ধব ভিসি চাই; সৎ ও সাহসী ভিসি চাই; ক্লাস চাই পরীক্ষা চাই, অবিলম্বে ভিসি চাই; ক্লিন ইমেজের ভিসি চাই; রেকর্ড দেখে ভিসি দিন, দূর্নীতির খবর নিন; ইবির আঙিনায়, দূর্নীতিবাজের ঠাই নাই লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
এসময় ইবি সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, দীর্ঘ তিন মাস ধরে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে রাজপথে থাকতে হয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা আর রাজপথের থাকতে চায় না। অনতিবিলম্বে ক্লাস পরীক্ষা শুরু করার মাধ্যমে পড়ার টেবিলে ফেরত যেতে যায়। আর এই জন্য আমাদের যত প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো দূর করতে পারে একটি যোগ্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিভিন্নভাবে মন্ত্রণালয়ে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। অনতিবিলম্বে আমাদের যেন যোগ্য প্রশাসন নিয়োগ দেওয়া হয়।
এসময় ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্যই শিক্ষার্থীবান্ধব ও সংস্কারমনা ভিসি হতে হবে। আমরা এমন এক উপার্চায চাই যিনি শিক্ষার্থীদেরকে গুরুত্ব দিবে, সকল বিভাগকে একত্র নিয়ে এগিয়ে যাবে। যদি আমরা শুনি যিনি ভিসি হয়ে আসছেন তিনি শিক্ষার্থীবান্ধব নয়, সংস্কারমনা নয় তাহলে আমাদের স্পষ্ট ঘোষণা প্রধান ফটকে তাকে আমরা প্রবেশ করতে দেবো না।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম