অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়ে এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান ঢাকায় অবস্থিত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার।
এ সময় এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব উত্তম কুমার কর্মকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ এবং জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন জ্যান জানোস্কিও উপস্থিত ছিলেন।
জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদারদের একটিতে পরিণত হয়েছে জার্মানি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ট্রস্টার বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য জার্মানি আট বছরের মধ্যে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে বাংলাদেশকে। এটি একটি বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম। বাংলাদেশ সেই মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি, যারা এই প্রকল্প সহায়তা পেয়েছে।
এ সময় জার্মান নেতাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে আরও বিনিয়োগ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দক্ষতা ও প্রযুক্তি কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, দেশের জন্য নতুন যুগের সূচনাকারী ছাত্র ও তরুণদের পেছনে জাতি ঐক্যবদ্ধ। এখন আমাদের তাদের আকাঙ্ক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের তাদের উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করতে হবে।
ড. ইউনূস জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বাংলাদেশে জার্মান বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে কোনো বাধা দূর করতে আগ্রহী তার অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এ সময় জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সংস্কার সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, জার্মানি ও বাংলাদেশের ফার্ম মিলে গ্রিন করিডোর তৈরি করতে পারে।