ক্যাটাগরি: অর্থনীতি

দাম নির্ধারণের পর বাড়তি দরে ডিম-মুরগি

বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ডিম, সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। তবে দাম নির্ধারণের পরদিনই খুচরা বাজারে পূর্বের তুলনায় আরও বেড়ে গেছে ডিম-মুরগির দাম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের পর ডজনপ্রতি ডিম এবং কেজিপ্রতি মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা পর্যন্ত, যা দুইদিন আগেও ছিল ১৭০ টাকা। বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকার মধ্যে, যা পূর্বে ছিল ২৮০ টাকা। এ ছাড়া, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, যা পূর্বেও একই দামে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, যা গত শনিবারের বাজারেও ছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত। সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা ডজন, যা দুইদিন পূর্বেও ১৫৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরেই ঢাকার বাজারে ডিমের দাম চড়া ছিল; প্রতি ডজন বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। এর মধ্যেই হঠাৎ করে আবার ১৭০ টাকা ডজন হয়ে গেছে, যা গত ১৫ থেকে ২০ দিন আগেও ডজন ১৫০ টাকার নিচে ছিল।

নাহিদ রানা নামে এক বিক্রেতা বলেন, শুনেছি সরকার ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, কিন্তু গতকাল পাইকারি বাজারে কিনতে গিয়ে দেখি উল্টো বেড়ে গেছে। আড়তদাররা বলছে বাজারে ডিমের সংকট আছে।

এর আগে রোববার মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এক চিঠিতে বলা হয়, ডিম খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি চিঠিতে ২০২৪ সালের মুরগি (সোনালি ও ব্রয়লার) ও ডিমের নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্য (উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে) সঠিকভাবে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার