জাতীয়
আগামীকাল নিবন্ধন পাচ্ছে গণসংহতি আন্দোলন
গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নিবন্ধন দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। গত ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে নির্বাচন কমিশনের করা আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ফলে দলটির নিবন্ধন পেতে কোনো বাধা ছিল না।
জানা গেছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। রেজিস্ট্রেশন না দেওয়ায় গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ সাকি হাইকোর্টে রিট করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল আবেদন করেন। পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
নিয়ম অনুযায়ী এরই মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে কোনো আপত্তি উত্থাপিত না হওয়ায় আগামীকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় নিবন্ধনের প্রজ্ঞাপন ও নির্বাচনী প্রতীক আনুষ্ঠানিকভাবে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের হাতে তুলে দেবে নির্বাচন কমিশন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেলসহ নেতারা এ সময়ে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তিন দেশ থেকে বুলগেরিয়ান ভিসার আবেদন করতে পারবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
ভারতীয় ভিসা বন্ধ থাকায় বুলগেরিয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও কাজাখস্তানে বুলগেরিয়ান দূতাবাসে আবেদন করতে পারবে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুকে এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পোস্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বুলগেরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে কিন্তু নয়াদিল্লিতে বুলগেরিয়ান দূতাবাসে তাদের ভিসার আবেদন জমা দিতে পারেনি তাদের হ্যানয় (ভিয়েতনাম), ইসলামাবাদ (পাকিস্তান) বা আস্তানা (কাজাখস্তানে) বুলগেরিয়ান দূতাবাসে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মেডিকেল ভিসা ছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনা হতাশ, নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে যা জানালেন জয়
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে টানা প্রায় সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান এবং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে শেখ হাসিনা হতাশ ও বিচলিত বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি মনে করছেন, তার বিগত দিনের প্রচেষ্টা সবই ব্যর্থ হতে চলেছে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা অংশ নেবেন কি না এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তার ছেলে।
প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী টাইমস ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) টাইম ম্যাগাজিনের অনলাইন সংস্করণে চার্লি ক্যাম্পবেলের ‘বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে একটি অপ্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তন করতে পারেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থতি নিয়ে আমার মা অনেক হতাশ ও বিচলিত। তিনি মনে করছেন তার গত ১৫ বছরের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে চলেছে।
বাংলাদেশে নির্বাচন ঘোষণা হলে তাতে অংশ নিতে শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন কি না এ প্রসঙ্গে জয় বলেন, এ ব্যাপারে ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা যদি এক বছর বা ১৮ মাস দেশ চালাতে চায়, তাহলে আমার বিশ্বাস এটা ঠিক আছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরবেন কি না জানতে চাইলে জয় বলেন, ‘আমার কখনোই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কী ঘটতে পারে তা কে জানে? আমি কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।
জয় দাবি করেন, তিনি সরকারি চাকরিতে কোটা কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। আমরা সবাইই কোটা আন্দোলন দেখে অবাক হয়েছিলাম। আসলে আমি (পারিবারিক) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বলেছিলাম, ৩০ শতাংশ কোটা বেশি হয়ে যায়, আমাদের এটি কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা উচিত। তখন একজন মন্তব্য করেন, আমরাও মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি। আমি মজা করে বলেছিলাম, এজন্যই তো আমি ৫ শতাংশ রাখতে বলেছি! শেষ পর্যন্ত কোটা ইস্যু অগ্নিশিখার মতো বৈষম্য ও রাজনৈতিক দমনপীড়নের প্রতি বাংলাদেশের জনসাধারণের ক্ষোভকে উসকে দেয়। জুলাই মাসে এই অস্থিরতা তীব্র আকার ধারণ করে।
তবে কোটা আন্দোলনে সময় তার মায়ের প্রশাসনের ক্র্যাকডাউন নিয়ে ভুলের কথা স্বীকার করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। অর্ধেকের বেশি হতাহত সন্ত্রাসীদের কারণে হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি বিদেশি একটি গোয়েন্দা সংস্থার দিকে ইঙ্গিত করেন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আলোচনা কোনো কোনো মহল থেকে উঠছে। এ প্রসঙ্গে জয় বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে কীভাবে নিষিদ্ধ করবেন? এটা আইনত সম্ভব নয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট অবসান ঘটে শেখ হাসিনার প্রায় সাড়ে ১৫ বছরের শাসনে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ দুশোর কাছাকাছি মামলা দায়ের হয়েছে। চরম বেকায়দায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন, বেশির ভাগ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে চলেও গেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
উত্তরা পশ্চিম থানা আ.লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে জোরালো ভূমিকা পালন করা উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে উত্তরার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন অ্যাডভোকেট মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিন উত্তরা এলাকায় আন্দোলন দমন-পীড়নে জোরালো ভূমিকা পালন করেন। তিনি উত্তরা পশ্চিম থানায় সাতটি ও উত্তরা পূর্ব থানায় পাঁচটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিতে সম্মত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ঐকমত্য হয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম। সেইসঙ্গে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সুখবর দিয়েছেন তিনি।
বৈঠক শেষে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
তিনি বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমার। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং সর্বাত্মক সহযোগী থাকবে। দেশটির শ্রমবাজার নিয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘মালোয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রথম পর্যায়ে ১৮ হাজার বাঙালি নেয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমার পুরনো বন্ধু এবং বাংলাদেশের পুরনো বন্ধু আসায় আমি খুবই খুশি। এরওপর আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর এটা প্রথম কোনো সরকার প্রধানের বাংলাদেশ সফর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছি। যেখানে তারুণ্যের শক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি। সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।’
চতুর্থ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয় এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রফতানি, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কথা বলেছি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি এবং ভিসা সহজীকরণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
আসিয়ান জোটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকায় পৌঁছেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম
সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তার সফরে রাজনীতি, অর্থনীতি ও শ্রমবাজার ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে তাকে বহনকারী বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রথম শীর্ষ নেতা হিসেবে ঢাকা সফরে এসেছেন।
জানা যায়, আনোয়ার ইব্রাহিমের পুরোনো বন্ধু ড. ইউনূস। বন্ধুর আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন তিনি। এই সফরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী শ্রমবাজার ইস্যুতে হয়তো কোনো সুখবর দিতে পারেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার পতনের পর ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। ড. ইউনূসকে দ্রুত অভিনন্দন জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। বন্ধু ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি।
এমআই