রাজনীতি
মধ্যরাতে হাসপাতালে খালেদা জিয়া
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার দিনগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজা থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা করা হয়। ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। তিনি রাজধানীর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রায় দেড় মাস এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ২১ আগস্ট বাসায় ফিরেন বেগম খালেদা জিয়া। গত ৮ জুলাই সোমবার ভোর ৪টার জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে গত ২ জুলাই এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় বিএনপির চেয়ারপারসনকে। তার আগে গত ২২ জুন গভীর রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেদিন রাতে মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে তার হৃৎপিণ্ডে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ওইদিন বিকেলেই সফলভাবে পেসমেকার স্থাপন করা হয়।
এ ছাড়া গত বছরের ৯ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সে সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। পরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় ২৭ অক্টোবর। তার স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে সে দফায় পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ স্থগিত করে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তখন থেকে ছয় মাস পরপর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকার। তবে, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর রাষ্ট্রপতির নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান: দুদু
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন তারেক রহমান। কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যা করা দরকার সবই করেছেন তিনি। এটা যদি কাউকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হয় তাহলে একটু অসুবিধা আছে।
১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। আর তারেক রহমান বিচক্ষণতার সঙ্গে বিএনপিকে রক্ষা করেছে বলে মন্তব্য করেন শামসুজ্জামান দুদু।
শনিবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত প্রতীকী প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। অবিলম্বে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দুদু বলেন, এক মাসে কিছু হয় না। একটা সন্তান জন্ম দিতেও নয় মাস লাগে। এক মাসে যদি কোনো সন্তান আনতে হয় সেটা হয় মৃত। ১৬টি বছর এদেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে। ১৬টি বছর এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক গুম ও নিখোঁজ হয়েছে। ১৬টি বছর জেল খেটেছে। এক মাসের আন্দোলনের কথা সব বিবেচনায় যদি এনে থাকেন সেটা ঠিক হয়নি। এজন্য যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন করা সম্ভব হবে তত তাড়াতাড়ি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন করা সম্ভব হবে, তত তাড়াতাড়ি নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনায় তার উপযুক্ততা প্রমাণ করতে পারবে। এটাই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সেদিকেই আমি সরকারকে আহ্বান করি। কারণ এই সরকার আমাদের সরকার। এই সরকার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। সেজন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
নির্বাচন যত পিছিয়ে যাবে সংকট তত তীব্র হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা বর্তমান সরকারের কাছে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করি না। ছোট্ট একটি প্রত্যাশা আছে। দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে না। ড. মুহাম্মদ ইউনুস জ্ঞান গরিমা এবং কর্মের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন ব্যক্তি। তিনি নির্বাচন কবে হবে এই কথাটা যতদিন জাতিকে জানাতে না পারবেন ততদিন নানান বিতর্ক তৈরি হবে। এই বিতর্ক সৃষ্টিতে সরকারের ভূমিকা থাক এটা আমরা প্রত্যাশা এবং পছন্দ করি না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
এবার প্রকাশ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার প্রকাশ্যে এসেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি, সেক্রেটারি ও প্রচার সম্পাদক।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নামে এক ফেসবুক পেজে প্রচার সম্পাদক মো. ইব্রাহীম আলীর সই করা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে ইকবাল হোসেনকে সভাপতি, আসাদুল ইসলামকে সেক্রেটারি এবং মো. ইব্রাহীম আলীকে প্রচার সম্পাদক বলে উদ্ধৃত করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫ -১৬ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন ও সেক্রেটারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুল ইসলাম।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এক প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়। সেখানে সভাপতি হিসেবে ইকবাল হোসেন ও সেক্রেটারি হিসেবে আসাদুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, একটি জাতীয় দৈনিকে ছাত্রশিবিরকে নিয়ে মনগড়া সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ওই সংবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহকে অপব্যাখ্যা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের শিবির ট্যাগ দেওয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছিল সেটি ছিল চরম মিথ্যাচার। আওয়ামী শাসনামলে ছাত্রশিবির ছাত্রলীগ কর্তৃক ক্যাম্পাসে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। বিভিন্ন সময় ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছাত্রশিবিরের ভাইদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, মামলা হামলা দিয়ে শিবিরের জনশক্তিদের হয়রানি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অনেক দায়িত্বশীল ভাইয়ের অবৈধভাবে ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে এবং অনেক ভাই ছাত্রলীগের রোষানলে পড়ে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করতে পারেননি। সুতরাং সাধারণ ছাত্রদের শিবিরের কর্মীদের দ্বারা শিবির ট্যাগ দেওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং প্রকাশ্য মিথ্যাচার ছিল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
দল-মত-ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার: তারেক রহমান
দল-মত-ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার এবং নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারও সবার আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণ, কিংবা ভৌগোলিক-আদর্শিক অবস্থান নির্বিশেষে, প্রত্যেক নাগরিক যেন তার ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অধিকার বিনা বাধায় উপভোগ করতে পারে—এই লক্ষ্যেই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান—এমন প্রশ্ন ছিল না।
তিনি আরো বলেন, তাই স্বাধীন বাংলাদেশেও তথাকথিত সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নিয়ে চিন্তার কোনো অবকাশ নেই। দেশের প্রতিটি নাগরিক সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করবে—এটিই বিএনপির নীতি, এটিই বিএনপির রাজনীতি। আমরা বিশ্বাস করি, দল-মত-ধর্ম যার যার; কিন্তু রাষ্ট্র সবার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার। বাঙালি-অবাঙালি, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী, কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেক নাগরিকের একমাত্র পরিচয়—আমরা বাংলাদেশি। এই বাংলাদেশ আপনার, আমার, আমাদের সবার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
পূজামণ্ডপে ইসলামি গান পরিবেশন বিতর্ক, যা বললো ইসলামী ছাত্রশিবির
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে ইসলামি গান পরিবেশনের সঙ্গে শিবির জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। ছাত্রশিবিরের অবস্থান তুলে ধরে বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে জাহিদুল ইসলাম এই কথা বলেন।
পোস্টে তিনি জানান, এই ঘটনার সাথে অনেকেই ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন। আমি দায় নিয়ে বলছি, এর সাথে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শিবির কারও ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত করে, এমন কাজকে কখনোই সমর্থন করে না। তাই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরও লিখেন, ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট দাবি জানাচ্ছি, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত সত্য সবার সামনে উঠে আসুক। কেউ দোষী হলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়া হোক। সত্যতা যাচাই না করেই যারা বিভিন্ন সময়ে শিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালায়, তারা একটা সময় গিয়ে নিজেদের বিবেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ হবেন।
এ ধরণের কাজ থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকার অনুরোধ জানান জাহিদুল ইসলাম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জামায়াত মানুষের হৃদয় জয় করতে কাজ করছে: ড. শফিকুল
জামায়াত মানুষের হৃদয় জয় করতে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মেডিকেল বিভাগের উদ্যোগে হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী কারো মার্কেট দখল নিবে না, কারো জমি দখল দিবে না, কারো হাসপাতাল দখলে নেবে না। জামায়াতে ইসলামী মানুষের হৃদয় দখল করবে। সেকাজে সম্মানিত চিকিৎসকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, শারীরিক সুস্থ্যতার জন্য আত্মিক পরিশুদ্ধিতা অনিবার্য। মানুষ নিজেকে এতো ক্ষমতাবান মনে করে কী করে? সামান্য পিঁপড়া কানের ছিদ্রে প্রবেশ করলে মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়। এরপরও মানুষকে মহান আল্লাহ শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই মানুষ কেবল আল্লাহর দাসত্ব করবে এবং আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিবে। সে কাজে অবশ্যই একটি সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা বলবৎ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি একারণে যে, আমরা দুনিয়ায় যেমন সফল হতে চাই, তেমনি পরকালেও জান্নাত নিশ্চিত করতে চাই। আর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করবে। এই বিপ্লবের অর্জন নস্যাৎ করতে পরাজিত শক্তির দোসররা নানামূখী ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। জামায়াতে ইসলামীর ১১ জন শীর্ষ নেতাকে বিচারের নামে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নেতাদের তৈরি ব্যাংক, হাসপাতাল ফ্যাসিবাদের দোসরেরা লুট করে নিয়েছে। সেই ফ্যাসিস্টকে জনগণ আর বাংলার জমিনে দাঁড়াতে দিবে না।
এমআই