ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে সুপার টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৭ জনে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশটির সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর এএফপির।
তবে এখনও প্রায় ১২৮ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং আড়াই লাখ হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল ধ্বংস হয়ে গেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত দুর্যোগ কর্মকর্তারা একটি অফিসিয়াল রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। দেশটির উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়কে চলতি বছর আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শনিবার ভিয়েতনামে আঘাত হানে সুপার টাইফুন ইয়াগি। এরপর বিভিন্ন স্থানে বন্যা ও ভূমিধসের বিষয়ে সতর্ক করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় রোববার হোয়া বিনহ প্রদেশে একটি বাড়ির ওপর পাহাড় ধসে পড়ার ঘটনায় একই পরিবারের চার সদস্য নিহত হন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভিএনইএক্সপ্রেস জানায়, ইয়াগির প্রভাবে কয়েক ঘণ্টা টানা বৃষ্টিপাতের পর মধ্যরাতের দিকে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
এর আগে চীনের হাইনানে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া নিয়ে আঘাত হানে টাইফুন ইয়াগি। সেখানেও হতাহতের ঘটনা ঘটে। ইয়াগির প্রভাবে ঘন্টায় ২৩০ কিলোমিটারের (১৪৩ মাইল) বেশি বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে যায়।
ভিয়েতনামের উপকূলীয় শহরগুলো থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। লোকজনকে এই সময়ে বাড়িতেই অবস্থান করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। হ্যানয়সহ উত্তরাঞ্চলের ১২টি প্রদেশে সব স্কুল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।