লেস্টার সিটিকে হারিয়েছে লিভারপুল

লেস্টার সিটিকে হারিয়েছে লিভারপুল
দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা করোনার কারণে মাঠের বাইরে। সেরা ডিফেন্ডার চোটে পড়ে গোটা মৌসুমের জন্য ছিটকে গেছেন। আরেক নিয়মিত সেন্টারব্যাকও হাসপাতালে। যেখানে তাঁর সঙ্গী দলের অধিনায়ক, গত কয়েক মৌসুমে দলের গোলগুলোতে সর্বোচ্চ সহায়তা করা ও নতুন আসা দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। এত সব সমস্যার মধ্যে থেকেও মাঠে সেই চিরচেনা লিভারপুল। নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে সেই আগের মতোই দুর্দমনীয়, অবধ্য। লিগে কাল লেস্টার সিটিকে তারা হারিয়েছে ৩-০ গোলে।

আর এই জয়ে একটা অনন্যসাধারণ রেকর্ড গড়া হয়ে গেল দলটার। লিগে এই নিয়ে টানা ৬৪ ম্যাচ অপরাজিত রইল তারা। নিজেদের লিগ ইতিহাসে টানা এত ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড আগে ক্লাবটার কখনো ছিল না। এই ৬৪ ম্যাচের মধ্যে তারা জিতেছে ৫৩ ম্যাচে, বাকি এগারোটা ড্র। ২০১৭ সালের এপ্রিলে সেই ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারার পর লিগে নিজেদের মাটিতে আর হারের মুখ দেখেনি ক্লাবটি। ওদিকে সাদিও মানের কথাই ধরুন। ২০১৬ সালে সাউদাম্পটন থেকে লিভারপুলে আসার পর সেনেগালের এই উইঙ্গার এখনো অ্যানফিল্ডে কোনো লিগ ম্যাচ হারেননি। ভাবা যায়!

শুরু থেকেই ভয়ডর ছাড়া খেলতে শুরু করেছিল লিভারপুল। চোট-করোনার কারণে রক্ষণই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি, তাই হয়তো ‘যত গোল খাব তার চেয়ে বেশি গোল দেব’ এমন মানসিকতা খেলোয়াড়দের মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন ক্লপ! এই অতি-আক্রমণাত্মক মানসিকতার সুফল পেতে বেশিক্ষণ লাগেনি। নিয়মিত রাইটব্যাক ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আরনল্ডের জায়গায় এই ম্যাচে খেলেছিলেন বর্ষীয়ান জেমস মিলনার। ২১ মিনিটে তাঁর নেওয়া এক কর্নার ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো হেড করে নিজের জালে ঢুকিয়ে দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক সেন্টারব্যাক জনি এভান্স। শত্রুশিবিরের সাবেক এই ‘যোদ্ধার’ এহেন উদারতা বেশ ভালোই লাগার কথা লিভারপুল সমর্থকদের!

লিভারপুলের পরের গোলটা ছিল দলগত নৈপুণ্যের দারুণ প্রদর্শনী। নিজেদের মধ্যে টানা তিরিশবার বল আদান-প্রদান করার পর লেফটব্যাক অ্যান্ডি রবার্টসনের মাপা এক ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন পর্তুগিজ উইঙ্গার দিওগো জোতা। মৌসুমের শুরুতে উলভারহ্যাম্পটন থেকে দলে আসা এই তারকা যেন গোল করা থামাতেই পারছেন না! ঘরের মাটিতে নিজের প্রথম চার ম্যাচে চার গোল করা প্রথম লিভারপুল খেলোয়াড় হয়ে গেলেন এই জোতা। সব মিলিয়ে লিভারপুলের হয়ে ১২ ম্যাচ খেলে আট গোল করা হয়ে গেল এই তারকার। অথচ তিনি যখন দলে এলেন, বলা হচ্ছিল, লিভারপুলের বিখ্যাত আক্রমণ-ত্রয়ীর কারণে বেঞ্চই হবে তাঁর ঠিকানা। এখন জোতার আগুনে ফর্ম দেখে ক্লপ মধুর সমস্যায় পড়ছেন প্রতিনিয়ত, এটা নিশ্চিত!

এত ভালো খেলার পরেও, একটা অতৃপ্তি থেকেই যাচ্ছিল। গত এক বছর ধরেই আক্রমণ সঙ্গী সাদিও মানে কিংবা মোহাম্মদ সালাহর মতো তেমন গোল পাচ্ছিলেন না ব্রাজিলের স্ট্রাইকার রবার্তো ফিরমিনো। এই ম্যাচেও দুবার বল লাগিয়েছেন পোস্টে। শেষমেশ ফিরমিনোকেও রুখতে পারেনি লেস্টারের রক্ষণভাগ। মিলনারের আরেকটি কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে ফর্মে ফেরার আভাস দিয়েছেন এই স্ট্রাইকার।

একাধিক মূল খেলোয়াড় মাঠের বাইরে থাকার পরেও প্রতিপক্ষকে এভাবে নাস্তানাবুদ করে পাওয়া জয় ক্লপকে শান্তি দেবে, নিশ্চিত!

অর্থসংবাদ/ এমএস/ ১০: ৫৪/ ১১: ২৩: ২০২০

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়