আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানে ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ
কারাগারে বন্দী থাকা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানের রাজধানীতে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ইসলামাবাদে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে পিটিআইয়ের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পুলিশ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের পর এবারই প্রথম বড় কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন পিটিআই নেতারা। খবর আল জাজিরার
গত বছরের আগস্ট মাস থেকে কারাগারে ইমরান। তার মুক্তির দাবিতে সমর্থন তৈরির জন্য দলের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। গত জুলাই মাসে ইদ্দত মামলায় (ইসলামি বিধিবহির্ভূত নিকাহ) দেশটির একটি জেলা ও দায়রা আদালত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির আবেদন গ্রহণ করেন। এরপর তাদের মুক্তির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। পরে ইমরানকে তোশাখানা মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। আগের দুটি তোশাখানা মামলায় তার সাজা ইতিমধ্যে স্থগিত করা হয়েছিল, যখন তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে সাইফার মামলায় খালাস পেয়েছিলেন।
এর আগে কয়েক মাস ধরে পিটিআই রাজধানীতে জনসভার অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সমাবেশে পিটিআই নেতা হাম্মাদ আজহার বলেন, ‘পিটিআই নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা আজ জড়ো হয়েছেন দেশে আইনের শাসন ও সংবিধানের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’ তিনি বলেন, কোনো বাধা তাদের দমাতে পারবে না। আমরা ইমরান খানের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করব।’
টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সমাবেশের শেষের দিকে পুলিশের সঙ্গে পিটিআইয়ের কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, সমাবেশ শেষ করতে পিটিআইকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দলটি আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া সেই সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করেনি। তাই পুলিশ পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের সমাবেশস্থল থেকে হটিয়ে দেয়। এতে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে বাধ্য হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
১৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে বোয়িং
মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িং প্রায় ১৭ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া, ৭৭৭এক্স মডেলের বিমানের উৎপাদন কার্যক্রমেও বিলম্ব ঘটবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবসায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত তাদের। খবর বিবিসির।
বর্তমানে কর্মীদের ধর্মঘট এবং বিমানের গুণমান নিয়ে উদ্বেগের কারণে বেশ কঠিন সময় পার করছে প্রতিষ্ঠানটি।
অর্টবার্গ জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসে মোট কর্মশক্তির ১০ শতাংশ কর্মী কমানো হবে এবং পরবর্তী ছুটির চক্রও বাতিল করা হয়েছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেলি অর্টবার্গ কর্মীদের একটি ইমেইলে জানিয়েছেন, “এ সিদ্ধান্তের কারণে উচ্চপদস্থ নির্বাহী, ম্যানেজার এবং সাধারণ কর্মচারী—সবার চাকরি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের ব্যবসার অবস্থা এবং পুনরুদ্ধারের জন্য কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে।”
চাকরি ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি ৭৭৭এক্স বিমানের উৎপাদনেও বিলম্ব করা হয়েছে। কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে চলমান ধর্মঘটের কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে কাজ স্থগিত রয়েছে।
“আমরা আমাদের গ্রাহকদের জানিয়েছি, ৭৭৭এক্স-এর প্রথম ডেলিভারি ২০২৬ সাল নাগাদ দেয়া হবে,” বলেন অর্টবার্গ। এছাড়া, অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম তৈরির বিভাগেও বেশ ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছে তিনি।
বোয়িং-এ মাসব্যাপী ইউনিয়ন ধর্মঘট ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। প্রায় ৩৩ হাজার কর্মী একটি ভালো বেতন প্যাকেজের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
নতুন চেয়ারম্যানের নাম জানালো টাটা ট্রাস্ট
টাটা গোষ্ঠীকে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দিয়েছিলেন রতন টাটা। তিনি কেবল একজন ব্যবসায়ী নন, ছিলেন নতুন পথের দিশারীও। গত বুধবার সন্ধ্যায় ৮৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন ভারতের এই ধনকুবের।
এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, রতনের ছেড়ে যাওয়া বিরাট সাম্রাজ্য ও ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী কে হবেন? শুক্রবারই কার্যত মিলে গেলো সেই উত্তর। টাটা ট্রাস্টের নতুন চেয়ারম্যান করা হল রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটাকে। এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে ট্রাস্টের বোর্ড দ্বারা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
রতন টাটার মৃত্যুর পর তিনটি নাম নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। তারা হলেন লিয়া টাটা, মায়া টাটা ও নেভিল টাটা। কিন্তু রতন বিয়ে করেননি, নিঃসন্তান, তাহলে এই লিয়া, মায়া ও নেভিল কারা? এই তিনজন হলেন রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটার তিন সন্তান।
এরই মধ্যে টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থায় ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তারা। লিয়া, মায়া ও নেভিলের প্রতি ভরসা দেখিয়েছেন খোদ রতনও। সেই সূত্রেই দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট ও রতন টাটা ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে তিনজনকে নিয়োগের অনুমোদন দেন নিজেই।
তবে নোয়েল কেবল রতনের সৎ ভাই নন, গত ৪০ বছর ধরে টাটা গ্রুপের বিশ্বস্ত সৈনিকও। সাফল্যের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বর্তমানে টাটা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নোয়েল। এছাড়াও রতন টাটা ট্রাস্ট ও দোরাবজি টাটা ট্রাস্টের অন্যতম সদস্যও ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
শান্তিতে নোবেল পেলো নিহন হিদানকিও
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতলো জাপানি সংস্থা নিহন হিডানকিও। এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতলো জাপানি সংস্থা নিহন হিডানকিও। এটি হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা হামলায় বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি তৃণমূল পর্যায়ের আন্দোলন, যা ‘হিবাকুশা’ নামে পরিচিত।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, নিপ্পন হিডানকিও পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টার জন্য এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যর মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার যে মানবতাবিরোধী কাজ, তা তুলে ধরার জন্য এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
হিবাকুশারা বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের কাছে পরমাণু বোমার ধ্বংসাত্মক পরিণতি এবং মানব জীবনে এর ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। তাদের সাহসী প্রচেষ্টা এবং অঙ্গীকারের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে নিপ্পন হিডানকিও। সংস্থাটি বিশ্বাস করে, বিশ্বে আর কখনোই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হতে দেওয়া উচিত নয়।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে এ বছরের শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
এর আগে, ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মাদি । ইরানি নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রচারের জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
২০২২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান বেলারুশের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রুশ মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ।
২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য দুঃসাহসিক লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তিনবার শান্তিতে নোবেল পেয়েছে রেড ক্রস (১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে)। এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর পেয়েছে দু’বার (১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে)।
এ বছরের নোবেলজয়ীরা পাচ্ছেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর অর্থমূল্য প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। যেসব বিভাগে একাধিক নোবেলজয়ী থাকছেন, তাদের মধ্যে এই অর্থ সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিবসে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা আজ
বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে স্টকহোমের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি। আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নোবেলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম জানানো হবে।
স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
এ বছর পুরস্কারটির জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে), জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) ও জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে।
এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যেসব বিষয় সামনে এসেছে সেগুলো হলো- ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ, সুদানে দুর্ভিক্ষ ও জলবায়ু পরিবর্তন সংকট।
নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট এই বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬ জন প্রার্থীর নাম নিবন্ধন করেছে, যার মধ্যে ১৯৭ জন ব্যক্তি ও সংস্থা রয়েছে ৮৯টি।
১৯০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১১৪ বার নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ১১১ ব্যক্তি ও ৩০ সংস্থা মিলে পুরস্কার বিজয়ীর সংখ্যা ১৪১। ১৯১৭, ১৯৪৪ ১৯৬৩ সালে রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি তিনবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তর ১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে দুইবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ২৭ স্বতন্ত্র সংস্থা।
নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রতি বছর ৩০০ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
১৯০১ সাল থেকে প্রতি বছর এই পুরস্কার দিয়ে আসছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডায়নামাইট উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর থেকে তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পরে ১৯৬৯ সালে এতে অর্থনীতি যুক্ত হয়।
প্রতি বছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি স্বর্ণপদক, শংসাপত্রসহ একটি ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার পান।
সমাজের ‘নিচ থেকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন’ করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পরমাণুশক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরি করছে ভারত
ভারত পরমাণুশক্তিচালিত দুটি সাবমেরিন তৈরি করছে। গতকাল বুধবার এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় দেশটির সরকার। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫০ বিলিয়ন রুপি (৫৪০ কোটি ডলার)। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর দুজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির মুখে ভারত তাদের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে ভারতীয় নৌবাহিনী সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে। পাশাপাশি নিজেদের অস্ত্র তৈরির সক্ষমতাও বাড়াচ্ছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী ছয়টি আধুনিক পরমাণুশক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির পরিকল্পনা করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা প্রথম দফায় দুটি সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। কবে নাগাদ এ সাবমেরিন প্রস্তুত হবে, সে বিষয়ে কোনো তারিখ ঘোষিত হয়নি বলে জানিয়েছে নৌবাহিনীর সূত্রগুলো।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ নৌবাহিনী চীনের। দেশটির কাছে ৩৭০টির বেশি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। ২০২০ সালে চীনের সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের ২৪ সেনা নিহত হন। ওই ঘটনার পর থেকে দেশটি ভারতের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরমাণুশক্তিচালিত সাবমেরিন ডিজেলচালিত সাবমেরিনের তুলনায় অনেক দ্রুতগতিসম্পন্ন। এটি দীর্ঘ সময় ধরে পানির নিচে থাকতে পারে। এ ধরনের সাবমেরিন শনাক্ত করাও বেশ দুরূহ বিষয়। পরমাণুশক্তিচালিত সাবমেরিন বিশ্বের সবেচেয়ে শক্তিশালী নৌ অস্ত্র। অল্প কয়েকটি দেশের কাছে এ ধরনের সাবমেরিন আছে। দেশগুলো হলো চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
ভারত অতীতে রাশিয়ার কাছ থেকে দুটি পরমাণুশক্তিচালিত অ্যাটাক সাবমেরিন ইজারা নিয়েছিল। কিন্তু পরে সেগুলো ফিরিয়ে দিয়েছে। নতুন করে আরও সাবমেরিন ইজারা নেওয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। নতুন সাবমেরিন দুটি ভারতের বিশাখাপত্তনম বন্দরে সরকারি জাহাজনির্মাণ কেন্দ্রে তৈরি করা হবে।
এমআই