নাইকো দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সব সাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে তলব করেছেন আদালত।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই আদেশ দেন। এ মামলায় কোনও সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ফাতেমা খানম মিলা সময়ের আবেদন করেন। অন্যদিকে মৌখিকভাবে সাক্ষী ক্লোজ করার আবেদন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা।
শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, দুদক গত তিনটি ধার্য তারিখে সাক্ষী হাজির করেনি। এভাবে তারা আসামিদের হয়রানি করছেন। তাই মামলায় সাক্ষী ক্লোজ করে আসামিদের খালাস দেওয়া হোক। শুনানি শেষে বিচারক আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সব সাক্ষীকে তলব করেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে মামলায় বাদীসহ দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বাদীর সম্পূর্ণ সাক্ষী হওয়ার পর বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল বাকী আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সাক্ষী হাজির না হলে আদালত খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিকে খালাস দিতে পারেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। তাদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছরের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়।