ক্যাটাগরি: খেলাধুলা

রাজনীতিবিদ খেলোয়াড়দের নিয়ে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

ক্রীড়াবিদদের খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির অঙ্গনে পদার্পণ নতুন কিছু নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবসর নেওয়ার পর অনেকে পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ হন। তবে এর ব্যতিক্রমও দেখা গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জা জাতীয় দলে খেলা অবস্থাতেই সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। মাশরাফির পর অধিনায়ক থাকাকালেই একই পথেই হেঁটেছেন সাকিব আল হাসানও। রাজনীতিতে জড়িয়ে কম সমালোচিত হননি এই দুই ক্রিকেটার।

গণঅভ্যুত্থানের মুখে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ক্রীড়াবিদরা একই সঙ্গে রাজনীতি ও খেলা চালিয়া যাক এমনটা চান না বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক।

আমার মনে হয় অবসরের পর কেউ রাজনীতিতে যোগ দিতে চাইলে দিতে পারে, তবে খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থায় এমনটা করা (রাজনীতি) উচিত নয়। এসব পেশাদারিত্বের অভাবের কারণে স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হয়।

ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমার মনে হয় অবসরের পর কেউ রাজনীতিতে যোগ দিতে চাইলে দিতে পারে, তবে খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থায় এমনটা করা (রাজনীতি) উচিত নয়। এসব পেশাদারিত্বের অভাবের কারণে স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হয়। আমি এটা নিয়ে আগেও বলেছি।’

রাজনীতির পাশাপাশি ক্রিকেটারদের বিজ্ঞাপন এবং ব্যবসায় জড়ানো নিয়েও বিসিবির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘শুধু রাজনীতিই নয়, কিছু বিজ্ঞাপন আছে যা আইন এবং মানুষের বিপক্ষে যায়। তারা ব্যবসা করতে পারে। তবে এটা নিয়ে একটা নীতিমালা থাকতে হবে যে তারা কি করতে পারে বা কি না করতে পারে।

আরও যোগ করেন, ভারতের কয়েকজন ক্রিকেটারের নামে বেটিং ব্যবসার (এন্ডোর্সমেন্ট) অভিযোগ আছে, বাংলাদেশীদের নামেও আছে। তাই আমি মনে করি এটা নিয়ে একটা নীতিমালা থাকা উচিত। বিসিবি এটা ঠিক করতে পারবে।’

এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার