জাতীয়
নির্বাচনে হেরে গেলে কেউই ফল মেনে নেয় না : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও কারচুপি মুক্ত হয়েছে। আসলে নির্বাচনে হেরে গেলে ফলাফল কেউই মানতে চায় না।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালাচনা ও নাগরিক সেবা প্রদান বিষয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ফলাফল বর্জনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন করেন, ‘হেরে গেলে হার কি কেউ মেনে নেন? বিএনপিও মানছে না। নির্বাচনে হেরে গেলে ফলাফল কেউই মানতে চায় না।
ইভিএমএ কারচুপির কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন,
কারচুপির অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দুই সিটির নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবি করেছেন। বিএনপির মহাসচিব হিসেবে নিজে কোন সাফল্য দেখাতে পারেননি বলেই, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারচুপির অভিযোগে দুই সিটির নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবি করছেন।
তিনি বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে এই নির্বাচনে কারচুপির বা ফলাফল বদলে দেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। হেরে যাওয়ার কারণেই বিএনপি প্রার্থীরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের সব আহ্বান জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে কোন কারচুপির প্রমাণ পর্যবেক্ষকরা দিতে পারেননি এমনকি বলেনওনি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে বড় দাগের সংঘাত হয়, এবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোন সংঘাত হয়নি। নির্বাচন ছিল কারচুপি ও জালিয়াতি মুক্ত।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব কেন ফলাফল প্রত্যাখান করলেন জানি না। তাদের উদ্দেশ্য কি ছিল? কেন্দ্র দখল করে জালিয়াতি করে জেতার। এটা সম্ভব না, এই মেশিনে কারচুপি জালিয়াতির সুযোগ নেই। ইভিএমে ভোট করাই হয়েছে কারচুপি জালিয়াতি যেন না হয় সেজন্য। নির্বাচনে তাদের লোক দেখলাম না। মিছিলে তাদের অনেক লোক ছিল, নির্বাচনের দিন গেলো কোথায়।
ফলাফল পাল্টে দেয়ার বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, নির্বাচনে যেভাবে আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেভাবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়জয়কার কিন্তু হয়নি। ১৩ জন বিদ্রোহী জিতেছে। তারা যে সুবিধা করতে পেরেছে তা নয়। বেশিভাগই কাউন্সিলর হয়েছে। হেরে গেলে হার কি কেউ মেনে নেন, বিএনপিও মানছে না। তবে, ফলাফল পাল্টে দেয়ার সুযোগ ইভিএমে নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চায় বাহরাইন

বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাতিফ বিন রশিদ আল জায়ানি। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে বাহরাইনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিনন্দন বার্তায় বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর ও শক্তিশালী এবং পারস্পরিক কল্যাণে সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোকে আরও প্রসারিত করতে দেশটির আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিদ্যমান সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে উভয় দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যেতে চাই।
অভিনন্দন বার্তায় আব্দুল্লাতিফ বাংলাদেশের জনগণের সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি মেট্রোরেলের

রাজধানীর উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রুটে চলাচল করছে মেট্রোরেল। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ৭৭ হাজার যাত্রী চলাচল করেছেন আধুনিক এ পরিবহনে। এ খাতে আয় হয়েছে ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে একই সময়ে ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এ হিসাবে মেট্রোরেলে তিন মাসে আয়ের চেয়ে এক কোটি ১৩ লাখ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল পরিচালনায় সবচেয়ে বড় অংশ খরচ হয়েছে বিদ্যুৎ বিলে। সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুতের দামও বেড়েছে। সংশ্লিষ্টদের আমরা ডেকেছি, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আমাদের একটা মূল্য ঠিক করে দেওয়ার জন্য। আমাদের দ্বিতীয় প্রধান ব্যয় মেট্রোরেলে কর্মরতদের বেতন বাবদ। এছাড়াও অন্য খরচ রয়েছে।
মেট্রোরেলের আয়-ব্যয় এখন পর্যন্ত খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, পরিপূর্ণভাবে মেট্রোরেল চালু না হলে বোঝা যাবে না, একটা প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় না। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমাদের আরও দুটি স্টেশন চালু হচ্ছে। যেখানে নতুন নতুন যাত্রী যোগ হবে। অন্যদিকে এখন রমজান মাস। প্রথম দিকে একটা ট্যুরিস্ট পয়েন্টের মতো ব্যাপক জনসমাগম হতো। যে জায়গাতে এখন ভাটা পড়েছে। তবে নিয়মিত যাত্রীরা যাতায়াত করছেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ায় মেট্রোরেল চালু হয়েছে। এসব দেশের থেকে আমরা অনেক অনেক এগিয়ে রয়েছি। কোনো দেশেই মেট্রোরেলে একসঙ্গে সবগুলো স্টেশন খুলে দেওয়ার নজির নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম বাড়লো

রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৫ টাকা পাবেন রপ্তানিকারকরা। এতদিন যা ছিল ১০৪ টাকা। তবে অপরিবর্তিত আছে রেমিট্যান্সের রেট। ব্যাংকিং বা বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী শ্রমিকরা রেমিট্যান্স পাঠালে প্রতি ডলারে পাবেন ১০৭ টাকা। সঙ্গে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনাও পাবেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডলারের নতুন এ দাম ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাফেদা চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
বৈঠক প্রসঙ্গে সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকের যৌথ সভায় রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে প্রতি ডলারে ১০৫ টাকা দেওয়া হবে। আর রেমিট্যান্সে আগের মত ১০৭ টাকা পাবেন।
কিছু ব্যাংক আগ্রাসী হয়ে বেশি দামে ডলার কিনছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাফেদা চেয়ারম্যান জানান, এবিবি ও বাফেদা যৌথভাবে সবাই একমত হয়ে ডলারের রেট পুনর্নির্ধারণ করেছি। আজকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে; সবাই জানিয়েছেন এই নির্ধারিত রেটেই ডলার কিনবেন। তারপরও যদি কেউ রেট বেশি দামে ডলার নেয় তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। এটা দেখার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে তারা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশে ডলার-সংকট শুরু হয়। সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে ডলারের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে গত বছর সেপ্টেম্বরে ডলারের দাম নির্ধারণে এবিবি ও বাফেদার ওপর দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর যৌথভাবে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দুই সংগঠন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ফিটনেসবিহীন বাস-লঞ্চের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। ফিটনেসবিহীন বাস-লঞ্চের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ (ফেব্রুয়ারি) পর্যালোচনা ও সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন আইজিপি।
চলমান রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ দমনে জোরালো কার্যক্রম গ্রহণের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিসহ অন্যান্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে নজরদারি বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, কেউ যেন ধর্মীয় উসকানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য পুলিশের মনিটরিং জোরদার করতে হবে। আইজিপি বলেন, এ কাজে বিট অফিসারদের সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে তারা নিজ নিজ এলাকার প্রতিটি ঘটনা সম্পর্কে অবহিত থাকে। কোথাও কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার রোধকল্পে নিয়মিতভাবে গান চেকিং করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আরও বেশি তৎপর হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেন আইজিপি।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশের ওপর জনগণের আস্থা বেড়েছে। জনগণ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে প্রতিনিয়ত সেবা পাচ্ছে। তিনি জনগণকে আরও উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সচেষ্ট থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. মনজুর রহমান জানান, সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন– ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ অন্য অতিরিক্ত আইজিপিরা এবং ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানরা, সব মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এবং রেঞ্জের ডিআইজিরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সচিব সাঈদ মাহবুব খান গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানান।
সাঈদ মাহবুব খান বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ৩টি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ৪টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৬ হাজার ৬৯ কোটি ৭১ লাখ ৮ হাজার ৫৬৪ টাকা। সম্পূর্ণ অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করা হবে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো হলো
প্রস্তাবনা : ১
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক ‘৫টি র্যাব কমপ্লেক্স ও ১টি র্যাব ফোর্সেস ট্রেনিং স্কুল কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পের বাকি কাজের জন্য মাজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লি. এর কাছ থেকে ৪০ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫১৮ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা : ২
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত চুক্তি মূল্যের মধ্যে ‘পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইন্টেনেন্স ড্রেজিং’ স্কিমের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মূল চুক্তিমূল্য ৫ হাজার ৬২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
প্রস্তাবনা : ৩
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘আরিচা (বরঙ্গাইল)-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং WP-01 এর পূর্ত কাজ ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লি. এর কাছ থেকে ২৯০ কোটি টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা : ৪
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘কিশোরগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন গৌরিপুর-আনন্দগঞ্জ-মধুপুর-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-হোসেনপুর জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং WP-01 এর পূর্ত কাজ তাহের ব্রাদার্স লি. এর কাছ থেকে ১৩৬ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৬ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।