দেশজুড়ে প্রায় ৬০০,০০০ লাখ বিকাশ মার্চেন্টে সহজ ও নির্বিঘ্ন হবে কেনাকাটা
এলাকার মুদি দোকানে দরকারি কেনাকাটা থেকে শুরু করে বাস-ট্রেন-প্লেনের টিকেট কাটা সবই স্বাচ্ছন্দ্যে করা যাচ্ছে এখন বিকাশ পেমেন্টে। নামকরা ব্র্যান্ডশপ থেকে শুরু করে ঘরে বসে ফেসবুক পেজ বা অনলাইন শপ থেকে কিছু অর্ডার করা বা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আনিয়ে নেয়া সহজ হয়ে গিয়েছে বিকাশ পেমেন্টের কল্যাণে। আর উৎসবের কেনাকাটায় তো বিকাশ পেমেন্টের কোনো জুড়ি নেই। কেননা পছন্দের ফ্যাশন হাউস, জুতার দোকান, ইলেক্ট্রনিক পণ্য বা তার অ্যাকসেসরিজ কেনা – সব ক্ষেত্রেই আছে বিকাশ পেমেন্টে ডিসকাউন্ট বা ক্যাশব্যাক পাবার সুযোগ যা ঈদের কেনাকাটাকে করে তোলে আরো আনন্দময়।
বর্তমানে বিকাশ-এর ৭ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহক দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ মার্চেন্টে কিউআর স্ক্যান করে বা *247# ডায়াল করে সহজে এবং নিরাপদে পেমেন্ট করতে পারছেন। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ৩ লাখ ৩০ হাজার এজেন্ট পয়েন্টে টাকা ক্যাশ ইন করার পাশাপাশি গ্রাহকরা ৪৬ টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এবং বাংলাদেশে ইস্যুকৃত ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকে তাৎক্ষণিক অ্যাডমানি করে প্রয়োজনীয় সব কেনাকাটা সারতে পারছেন।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা সুহানা আফরিন সন্তানদের নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করছেন বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে ঘুরে। তিনি বলেন, “বছর জুড়ে কেনাকাটায় সবসময়ই চেষ্টা করি ডিজিটাল পেমেন্ট করার। আর রমজান জুড়ে ঈদের কেনাকাটায় বিকাশের মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে শপিংমলে গিয়ে কেনাকাটায় ক্যাশ টাকা নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে না। নেই ভাংতি বা ছেঁড়া-ফাটা টাকার ঝামেলা বা ক্যাশ টাকা হারিয়ে যাওয়ার ভয়ও। ঈদ মৌসুমে আবার ডিসকাউন্ট বা ক্যাশব্যাক পাবার সুযোগও থাকে। শুধু ঈদ সময়েই নয়, সারা বছরই বিকাশ পেমেন্টে কেনাকাটা করাটা আমার কাছে সহজ মনে হয় কেননা ছোটো বড় সব দোকানেই কমবেশি বিকাশ পেমেন্টের সুবিধা আছে এখন।”
সুহানার মতো এমন লাখো গ্রাহক এখন অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন ডিজিটাল পেমেন্টে। অনলাইন কিংবা অফলাইন সব ধরণের কেনাকাটাতেই ডিজিটাল পেমেন্টে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন অসংখ্য ক্রেতা। আবার ডিজিটাল পেমেন্টে কেনাকাটায় শুধু যে গ্রাহকই স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন তা নয়, সহজে দৈনন্দিন বেচা-বিক্রির হিসেব রাখতে পারায় স্বস্তি মিলছে বিক্রেতাদেরও।
রাজধানীর রামপুরায় অবস্থিত মমতা স্টোরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মান্নান বলেন, “বাজার দরের চেয়ে একটু কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করায় দোকানে সারাদিন কাস্টমারের ভিড় লেগে থাকে। যারা ক্যাশে বসেন তাদের টাকা গুনতে গুনতেই দিনের অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। এ কারণে বিকাশের মতো সেবার কারণে ব্যবসায়িক লেনদেন আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। ভাংতি বা নকল টাকার ঝামেলা ছাড়া কম সময়ে পেমেন্ট নিতে পারছি। আবার বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাপে নতুন যুক্ত হওয়া ভয়েস নোটিফিকেশনের কারণে পেমেন্ট গ্রহণে বিভ্রান্তি দূর হয়েছে।”
বিকাশ-এর হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশনস এন্ড পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, “ডিজিটাল পেমেন্টের প্রকৃত সুবিধা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছি। সুপারশপ বা ব্র্যান্ডশপ-এর মতো বড় মার্চেন্টরা তো আছেই, পাশাপাশি এখন একদম প্রান্তিক উদ্যোক্তারাও পারসোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট পিআরএ দিয়ে বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারছেন। একই সাথে গ্রাহকদের ডিজিটাল পেমেন্টের অভিজ্ঞতাকে আনন্দময় করে তুলতে ঈদ-পার্বণকে সামনে রেখে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্টসহ নানা অফার দিয়ে থাকে বিকাশ।”
গ্রাহকের জন্য ডিজিটাল পেমেন্টকে আরো সহজ ও নিরাপদ করায় ভূমিকা রাখছে বিকাশের সঙ্গে ব্যাংকের দ্বিমুখী লেনদেনের শক্তিশালি নেটওয়ার্ক। বর্তমানে দেশের ৪৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে এবং বাংলাদেশে ইস্যুকৃত ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকে গ্রাহক অ্যাডমানি সেবার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারছেন। একই সঙ্গে সম্প্রতি চালু হয়েছে বিকাশ অ্যাপ থেকে সরাসরি ভিসা কার্ড দিয়ে বিকাশ পেমেন্ট যা গ্রাহককে ডিজিটাল লেনদেনে আরো সক্ষম করে তুলছে।
পুরো রমজান মাস জুড়ে অনলাইন শপ, ফেইসবুক পেজ, বিভিন্ন ব্র্যান্ডশপ, ফ্যাশন হাউজ, জুতার দোকান, ইলেক্ট্রনিকসসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবার উপর মিলছে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার। এছাড়াও, অনলাইন গ্রোসারি ও সুপারস্টোরেও রমজানের প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে মিলছে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক। পবিত্র রমজান মাস জুড়ে এবং ঈদকে সামনে রেখে বিকাশ পেমেন্টে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফারগুলো দেখে নেয়া যাবে বিকাশ-এর ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে অথবা এই লিংকে — https://www.bkash.com/campaign/search?category=ramadan-offer।