কর্পোরেট সংবাদ
এই ঈদে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য বিকাশ পেমেন্টে
দেশজুড়ে প্রায় ৬০০,০০০ লাখ বিকাশ মার্চেন্টে সহজ ও নির্বিঘ্ন হবে কেনাকাটা
এলাকার মুদি দোকানে দরকারি কেনাকাটা থেকে শুরু করে বাস-ট্রেন-প্লেনের টিকেট কাটা সবই স্বাচ্ছন্দ্যে করা যাচ্ছে এখন বিকাশ পেমেন্টে। নামকরা ব্র্যান্ডশপ থেকে শুরু করে ঘরে বসে ফেসবুক পেজ বা অনলাইন শপ থেকে কিছু অর্ডার করা বা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আনিয়ে নেয়া সহজ হয়ে গিয়েছে বিকাশ পেমেন্টের কল্যাণে। আর উৎসবের কেনাকাটায় তো বিকাশ পেমেন্টের কোনো জুড়ি নেই। কেননা পছন্দের ফ্যাশন হাউস, জুতার দোকান, ইলেক্ট্রনিক পণ্য বা তার অ্যাকসেসরিজ কেনা – সব ক্ষেত্রেই আছে বিকাশ পেমেন্টে ডিসকাউন্ট বা ক্যাশব্যাক পাবার সুযোগ যা ঈদের কেনাকাটাকে করে তোলে আরো আনন্দময়।
বর্তমানে বিকাশ-এর ৭ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহক দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ মার্চেন্টে কিউআর স্ক্যান করে বা *247# ডায়াল করে সহজে এবং নিরাপদে পেমেন্ট করতে পারছেন। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ৩ লাখ ৩০ হাজার এজেন্ট পয়েন্টে টাকা ক্যাশ ইন করার পাশাপাশি গ্রাহকরা ৪৬ টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এবং বাংলাদেশে ইস্যুকৃত ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকে তাৎক্ষণিক অ্যাডমানি করে প্রয়োজনীয় সব কেনাকাটা সারতে পারছেন।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা সুহানা আফরিন সন্তানদের নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করছেন বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে ঘুরে। তিনি বলেন, “বছর জুড়ে কেনাকাটায় সবসময়ই চেষ্টা করি ডিজিটাল পেমেন্ট করার। আর রমজান জুড়ে ঈদের কেনাকাটায় বিকাশের মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে শপিংমলে গিয়ে কেনাকাটায় ক্যাশ টাকা নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে না। নেই ভাংতি বা ছেঁড়া-ফাটা টাকার ঝামেলা বা ক্যাশ টাকা হারিয়ে যাওয়ার ভয়ও। ঈদ মৌসুমে আবার ডিসকাউন্ট বা ক্যাশব্যাক পাবার সুযোগও থাকে। শুধু ঈদ সময়েই নয়, সারা বছরই বিকাশ পেমেন্টে কেনাকাটা করাটা আমার কাছে সহজ মনে হয় কেননা ছোটো বড় সব দোকানেই কমবেশি বিকাশ পেমেন্টের সুবিধা আছে এখন।”
সুহানার মতো এমন লাখো গ্রাহক এখন অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন ডিজিটাল পেমেন্টে। অনলাইন কিংবা অফলাইন সব ধরণের কেনাকাটাতেই ডিজিটাল পেমেন্টে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন অসংখ্য ক্রেতা। আবার ডিজিটাল পেমেন্টে কেনাকাটায় শুধু যে গ্রাহকই স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন তা নয়, সহজে দৈনন্দিন বেচা-বিক্রির হিসেব রাখতে পারায় স্বস্তি মিলছে বিক্রেতাদেরও।
রাজধানীর রামপুরায় অবস্থিত মমতা স্টোরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মান্নান বলেন, “বাজার দরের চেয়ে একটু কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করায় দোকানে সারাদিন কাস্টমারের ভিড় লেগে থাকে। যারা ক্যাশে বসেন তাদের টাকা গুনতে গুনতেই দিনের অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। এ কারণে বিকাশের মতো সেবার কারণে ব্যবসায়িক লেনদেন আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। ভাংতি বা নকল টাকার ঝামেলা ছাড়া কম সময়ে পেমেন্ট নিতে পারছি। আবার বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাপে নতুন যুক্ত হওয়া ভয়েস নোটিফিকেশনের কারণে পেমেন্ট গ্রহণে বিভ্রান্তি দূর হয়েছে।”
বিকাশ-এর হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশনস এন্ড পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, “ডিজিটাল পেমেন্টের প্রকৃত সুবিধা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছি। সুপারশপ বা ব্র্যান্ডশপ-এর মতো বড় মার্চেন্টরা তো আছেই, পাশাপাশি এখন একদম প্রান্তিক উদ্যোক্তারাও পারসোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট পিআরএ দিয়ে বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারছেন। একই সাথে গ্রাহকদের ডিজিটাল পেমেন্টের অভিজ্ঞতাকে আনন্দময় করে তুলতে ঈদ-পার্বণকে সামনে রেখে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্টসহ নানা অফার দিয়ে থাকে বিকাশ।”
গ্রাহকের জন্য ডিজিটাল পেমেন্টকে আরো সহজ ও নিরাপদ করায় ভূমিকা রাখছে বিকাশের সঙ্গে ব্যাংকের দ্বিমুখী লেনদেনের শক্তিশালি নেটওয়ার্ক। বর্তমানে দেশের ৪৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে এবং বাংলাদেশে ইস্যুকৃত ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকে গ্রাহক অ্যাডমানি সেবার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারছেন। একই সঙ্গে সম্প্রতি চালু হয়েছে বিকাশ অ্যাপ থেকে সরাসরি ভিসা কার্ড দিয়ে বিকাশ পেমেন্ট যা গ্রাহককে ডিজিটাল লেনদেনে আরো সক্ষম করে তুলছে।
পুরো রমজান মাস জুড়ে অনলাইন শপ, ফেইসবুক পেজ, বিভিন্ন ব্র্যান্ডশপ, ফ্যাশন হাউজ, জুতার দোকান, ইলেক্ট্রনিকসসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবার উপর মিলছে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার। এছাড়াও, অনলাইন গ্রোসারি ও সুপারস্টোরেও রমজানের প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে মিলছে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক। পবিত্র রমজান মাস জুড়ে এবং ঈদকে সামনে রেখে বিকাশ পেমেন্টে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফারগুলো দেখে নেয়া যাবে বিকাশ-এর ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে অথবা এই লিংকে — https://www.bkash.com/campaign/search?category=ramadan-offer।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
কলকাতা-আগরতলা মিশনের প্রধানদের ঢাকায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার উপ-হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের পর দুই মিশনের প্রধানকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, কলকাতায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনার শিকদার মো. আশরাফুর রহমান এবং ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনার আরিফুর রহমানকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবারে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে ঢাকায় ফিরেছেন কলকাতায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনার শিকদার মো. আশরাফুর রহমান। ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনারও আজ ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
গত ২ ডিসেম্বর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পরদিন সহকারী হাইকমিশনে সব ধরনের কনস্যুলার ও ভিসা সেবা বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। নিরাপত্তাহীনতার কারণে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
২৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২৬ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট-১) খন্দকার শামীমা ইয়াছমিনের নামে জারিকৃত আদেশে তাদের বদলি করা হয়েছে।
বদলিকৃত ২৬ কর্মকর্তার মধ্যে ১৯ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ৭ জন সহকারী পুলিশ সুপার রয়েছেন।
বদলিকৃত কর্মকর্তাদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
মেহেরপুরে ইসলামী ব্যাংকের গাংনী শাখা উদ্বোধন
মেহেরপুরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ৩৯৯তম শাখা হিসেবে গাংনী শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে নতুন এ শাখার উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও যশোর জোনপ্রধান মো. মাহবুব-এ আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাকসুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মজনুজ্জামান। অনুষ্ঠানে কল্যাণমুখী ব্যাংকিংয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শরী’আহ সেক্রেটারিয়েটের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নূরুল কবীর।
গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিতম সাহা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গাংনী শাখাপ্রধান মো. মাসুদ করিম। গ্রাহক ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন মানিকনগর ফাযিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক ও সমাজসেবক মাওলানা তাজউদ্দিন খান, গাংনী পৌরসভার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. ইনসারুল হক, ব্যবসায়ী মো. রবিউল ইসলাম ও মো. মনিরুল ইসলাম এবং কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাসরিন সুলতানা।
এসময় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী, শুভানুধ্যায়ী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা ও প্রতীক্ষার ব্যাংক। শরী‘আহ নীতিমালার আলোকে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার ফলে ইসলামী ব্যাংক জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। এ ব্যাংক আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সূচকে দেশের সেরা ব্যাংক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প বিনিয়োগের পাশাপাশি গ্রামীণ অঞ্চলে ইসলামী ব্যাংকের সেবাসমূহের চাহিদা ও আওতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিএস) ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার গ্রামের প্রায় ১৮ লাখ প্রান্তিক মানুষকে সফল ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করেছে।
তিনি গাংনী এলাকার কৃষিশিল্প ভিত্তিক ব্যবসার চাহিদা ও গুরুত্ব উল্লেখ করে উপযোগী বিনিয়োগ সেবা চালু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়া, দেশের অন্যান্য শাখার মতো গাংনী শাখাতেও সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নোভারটিসের অধিকাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে রেডিয়েন্ট ফার্মা
নোভারটিস বাংলাদেশ লিমিটেড নিজেদের মালিকানাধীন শেয়ার শীর্ষস্থানীয় দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করবে। এ নিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দেওয়া হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নোভারটিসের হেড এশিয়া আ্যসপায়রিং মার্কেটস কেভিন জু রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.)সিনা ইবনে জামালী। এসময় দুই প্রতিষ্ঠানেরই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাণ উপস্থিত ছিলেন।
নোভারটিসের হেড এশিয়া অ্যাসপায়রিং মার্কেটস কেভিন জু বলেন, গ্লোভাল স্ট্র্যাটেজির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা এনবিএল-এ আমাদের শেয়ার শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। আমাদের উদ্ভাবনী ওষুধগুলোর মাধ্যমে রোগীদের সেবা প্রদান নিশ্চিতে আমরা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ;পাশাপাশি,আমরা বাংলাদেশের মানুষের জিবনের মানোন্নয়ন ও তাদের সুদীর্ঘ জীবন অর্জনে ভূমিকা রাখার লক্ষ নিয়ে কাজ করছি । উপরন্তু,আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের কর্মীদের প্রতি ন্যায্য আচরণ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিব্ধ । এ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় রেডিয়েন্টকে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।
রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্য়ান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী রেডিয়েন্ট ও নোভারটিসের মধ্যে নতুন ব্যবসায়িক অংশদারিত্বের দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন, এ অংশীদারিত্ব দেশের মানুষের জন্য নোভারটিসের উদ্ভাবনী পন্য সরবারহে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি নোভারটিসের পূর্ববর্তী কোম্পানি সিবা-গেইগি এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাস্থখাতে নোভারটিসের উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রশংসা করেন। এ শেয়ার হস্তান্তর উভয় প্রতিষ্ঠান এবং বৃহত্তর পরিসরে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
১৯৭৩ সাল থেকে নোভারটিস ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিচালনা করে আসছে নোভারটিস।
বাংলাদেশে এনবিএলের মাধ্যমে ব্যবসার ধারাবাহিকতা ও উদ্ভাবনী ওষুধ সরবারহ অঙ্গিকারবদ্ধ নোভারটিস। এছাড়া, এনবিএলেএর অধিনে থাকা সব স্থায়ী কমপক্ষে ৩বছর একই সুযোগ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে রেডিয়েন্ট। এ হস্তান্তরের মাধ্যমে কর্মীদের জন্য আরও সুযোগ সৃস্টি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে; পাশাপাশি, এটি বাংলাদেশে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধনেও উল্লেখযো্গ্য ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম । রেডিয়েন্ট ফার্মার সাড়ে ৬ হাজারের ও বেশি কর্মী রয়েছে। এছাড়াও ,প্রতিষ্ঠানটির পোর্টফলিওতে ১শ’র বেশি নিবন্ধিত ব্রান্ড এবং ১২ টি আন্তর্জাতিক অংশীদার রয়েছে । এই মালিকানা স্থানান্তর দীর্ঘমেয়াতে উভয় প্রতিষ্ঠানের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজের এক প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ৩০ জনের এক প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দুবাই, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও গ্রিসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দাবির বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেন। লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য ও দাবিগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করেন তারা।
প্রতিনিধিদলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের সঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত হলো। সময়ের স্বল্পতায় অনেক কথা বলা হলো না, ছোট করে শুনলাম। লিখিত পত্র থেকে বিস্তারিত জানবো। এগুলো নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে।
যুক্তরাজ্যসহ আন্তজার্তিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সম্পর্কে সত্য তথ্য তুলে ধরতে প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।