অর্থনীতি
চার মাসে ২০ কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন
গ্যাসের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য পেট্রোবাংলার সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সই করা ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
এ অনুমোদনের ফলে চলতি বছরের চার মাসে ২০ কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এমএসপিএ সই করা ২৩টি প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে পেট্রোবাংলার এই এলএনজি আমদানি করবে।
এর মধ্যে চলতি মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে ৬ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে। এ ছাড়া অক্টোবরে ৫ কার্গো, নভেম্বরে ৫ কার্গো এবং বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ৪ কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে পেট্রোবাংলা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এমএসপিএ সই করা ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রয় কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক।
বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কোনো কিছু পারচেজ করার আগে নীতিগত অনুমোদন আসে। নীতিগত অনুমোদন না থাকলে পারচেজ কমিটি (ক্রয় কমিটি) অনুমোদন দিতে পারে না।
তিনি বলেন, এমএসপিএ সই করা যে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো। আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি।
এদিকে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিসট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হয়। সেটিও অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জিটুজি ভিত্তিতে পেট্রোবাংলার সঙ্গে সই করা চুক্তির আওতায় কাতারের রাস লাফ্ফান লিকুইডিফাইড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (কাতার গ্যাস) থেকে ১৫ বছর মেয়াদে বর্তমানে ২.৫ এমটিপিএ এলএনজি এবং ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল (ওকিউটি) থেকে ১০ বছর মেয়াদে বর্তমানে ১.০ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়াও গ্যাসের চাহিদার ভিত্তিতে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা হয়।
স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ এর আওতায় প্রক্রিয়াকরণের জন্য সরকার ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর নীতিগত অনুমোদন দেয়। এ আইনের আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়ের লক্ষ্যে সরবরাহকারীর তালিকা প্রস্তুতের জন্য এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) আহ্বান করে ২০১৭ সালের ৮ জুন জাতীয় পত্রিকায়, সিপিটিইউ, পেট্রোবাংলা ও আরপিজিসিএলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
নির্ধারিত সময়ে দাখিল করা আবেদনের মধ্যে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠান এসএসপিএ অনুস্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং গ্রহণ এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনে পেট্রোবাংলার সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠান এমএসপিএ স্বাক্ষর করে।
পরবর্তীতে অধিকতর প্রতিযোগিতার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩টিতে উন্নীত করা হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে ৭৪ কার্গো এলএনজি আমদানির জন্য সর্বমোট ৯৭ বার (রি-টেন্ডারসহ) দর প্রস্তাব আহ্বান করা হলে এর বিপরীতে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১২টি প্রতিষ্ঠান দর প্রস্তাবে অংশ নেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ, সার, শিল্প খাতসহ বিভিন্ন খাতে দেশে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৩ হাজার ৮০০ এমএমসিএফ। দেশে গ্যাস সরবরাহের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দৈনিক ৩ হাজার ১৫০ এমএমসিএফ, যা চাহিদার ৮২ শতাংশ। সরবরাহ করা গ্যাসের মধ্যে দেশীয় উৎপাদন দৈনিক ২ হাজার ৫০ এমএমসিএফ এবং অবশিষ্ট ১ হাজার ১০০ এমএমসিএফ গ্যাস এলএনজি আকারে আমদানি করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা চায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তীব্র সংকটে থাকা গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা তারল্য সহায়তা চেয়েছে। রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য গ্রাহকের জমানো টাকা ফেরত দিতে না পারায় ব্যাংকটি এই তারল্য সহায়তা চেয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
সাম্প্রতিককালে ব্যাংক খাতে ইসলামী ধারার অধিকাংশ ব্যাংক দৈনিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে। তারল্য সংকট ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নগদ সহায়তা বন্ধের কারণে চাহিদামতো গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে পারছে না ডজনখানেক বাণিজ্যিক ব্যাংক। তাই ব্যাংকগুলো বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার করে চলছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপোতে ধার নিতে হলে বন্ড অথবা যে কোনো সম্পদ জামানত রাখতে হয়। কিন্তু গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের জামানত শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এখন বিশেষ সুবিধা চাচ্ছে ব্যাংকটি।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ছিল এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের নিয়ন্ত্রণে। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যাংকটিকে এস আলম মুক্ত করা হয়। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ছাড়াও ব্যাপক সমালোচিত এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা সব ব্যাংকে নতুন পর্ষদ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকের তারল্য সংকট এক দিনে তৈরি হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নরসহ হাতে গোনা কিছু মানুষের ভুলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাংক খাত। অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে এত দিন নগদ সহায়তা দিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে যাত্রা করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক)। কিছুদিন পর গ্লোবাল ইসলামীতে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে। এ ব্যাংক যা ঋণ দিয়েছে, তার বেশির ভাগই ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের নামে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ সহায়তা শেষ হওয়ায় দুর্বল ব্যাংকগুলো জামানত হিসেবে বিল বন্ড রেখে স্বল্পমেয়াদি (একদিন) ঋণ নিচ্ছে। তারপরও টাকা তুলতে আমানতকারীদের চাপ সামলাতে পারছেন না তারা। এই সুযোগে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ব্যাংকগুলোতে আমানত বেড়েছে বহুগুণ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড পেলো ১৬ প্রতিষ্ঠান
শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএলসহ ১৬টি প্রতিষ্ঠান এবার ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে। প্রাণ-আরএফএল ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন ইন ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইকোনোমকি গ্রোথ’ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার অর্জন করে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর লা মেরিডিয়ন হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। প্রাণ-আরএফএলের পক্ষ থেকে গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী এ সম্মাননা গ্রহণ করেন।
৯টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মধ্যে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, বিকাশ লিমিটেড ও পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের দুটি করে উদ্যোগ পুরস্কৃত হয়েছে। বিজয়ী কোম্পানির পক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
বিজয়ী বাকি ৮টি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান হলো-গ্রিন ডেল্টা ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিডেট, ব্র্যাক-আড়ং, জিপিএস ইসপাত লিমিটেড, মেঘনা গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই), গ্রামীণফোন লিমিটেড, এটেক, ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ, বার্জার পেইন্টস লিমিটেড।
এছাড়া আরও ২৩টি অনারেবল মেনশন-প্রাপ্ত ব্র্যান্ডকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের উদ্যোগে আয়োজিত এ সম্মাননার মূল লক্ষ্য টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া। দ্বিতীয়বারের মতো এ পুরস্কার দেওয়া হলো।
উদ্যোক্তরা জানিয়েছেন, ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডের দ্বিতীয় সংস্করণের ঘোষণার পর থেকে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। এ বছর ৪৫০ জনেরও অধিক অতিথির উপস্থিতিতে এ আয়োজন হয়।
চলতি বছরের ১২ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেওয়া হয়। এ সময়ে মোটি ৩৫৭টি মনোনয়ন জমা পড়ে। যেখান থেকে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়।
গত ৯-১৩ জুলাই পর্যন্ত ৮টি গ্র্যান্ড জুরি প্যানেলে ৩৭ জন ক্যাটেগরি বিশেষজ্ঞ একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ী ব্র্যান্ডগুলো বাছাই করে।
জুরি সেশনে উল্লেখযোগ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন রুবাইয়াত সারোয়ার, তৌফিকুজ্জামান চৌধুরী, নাজরা সাবেত, ড. রুবিনা হুসাইন, নাজনীন আক্তার, দিলরুবা এস খান, আসিফ ইকবাল, সাইফ ময়নুল ইসলাম প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে বাজেট সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক
আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে এক সভায় তিনি এমন আশা প্রকাশ করেন।
সভায় জ্বালানি উপদেষ্টা দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পরিস্থিতি তুলে ধরে এ খাতে বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তা প্রাপ্তির ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এসময় গেইল মার্টিন জানান, বিশ্বব্যাংক বর্তমান সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে আগ্রহী। এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে বাজেট সহায়তা দেয়া হতে পারে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাচার হওয়া অর্থ-সম্পদ ফেরতে যুক্তরাষ্ট্রকে যৌথ চিঠি
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অবৈধ সম্পদ জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ ও অর্থ ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-ইউএস ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এজন্য দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনের কাছে যৌথ উদ্যোগে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থা দুটির প্রধানরা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে টিআইবি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনের উদ্দেশ্যে প্রেরিত চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশের সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অবৈধ অর্থ-সম্পদের মালিকদের জবাবদিহি নিশ্চিত এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে বাংলাদেশ সরকারকে সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানান হয়েছে।
এর আগে, ৩০ আগস্ট যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশিদের অবৈধ সম্পদ ফ্রিজ ও অর্থ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল টিআইবি ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক চারটি দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা।
এছাড়া সুইজারল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সবকটি দেশ, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ-সম্পদ ফেরত আনার উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছিল টিআইবি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আইসিএবি অ্যাওয়ার্ড পেল ২২ প্রতিষ্ঠান
উপস্থাপিত সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন, সমন্বিত প্রতিবেদন এবং কর্পোরেট সুশাসনে ১৩ খাতে আইসিএবি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ২২ প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনাগাঁও হোটেলে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘২৪তম আইসিএবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন। এছাড়া সেরা প্রতিবেদন নির্বাচন প্রক্রিয়া তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন আইসিএবি’র রিভিউ কমিটি ফর পাবলিশড একাউন্টস এন্ড রিপোর্টস (আরসিপিএআর) এর চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির এফসিএ ও কো-চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জান।
২৪তম আইসিএবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় ব্যাংক এশিয়া পিএসি ওভারঅল উনার নির্বাচিত হয়েছে। সেরা উপস্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদন, সমন্বিত প্রতিবেদন এবং করপোরেট সুশাসন ডিসক্লোজারস এই তিন খাতে মোট ২২ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৮ প্রতিষ্ঠানকে ‘মেরিট’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জানা যায়, প্রতিযোগিতায় মনোনয়নের জন্য ৭৬ প্রতিষ্ঠান তাদের আর্থিক প্রতিবেদন ২০২৩ আইসিএবিতে জমা দেয়। বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে প্রতিটি খাতে তিনটি সেরা প্রতিবেদন সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব একাউন্ট্যান্টসের (সাফা) প্রতিযোগিতায় মনোনয়নের জন্য প্রেরণ করা হবে।
আইসিএবি-বিপিএ পুরস্কারের বিজয়ী যারা
প্রাইভেট সেক্টর ব্যাংকস: ব্যাংক এশিয়া পিএলসি এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি যৌথভাবে গোল্ড পুরস্কার বিজয়ী এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি সিলভার এবং ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি যৌথভাবে ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস সেক্টর: আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড গোল্ড এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
ম্যানুফ্যাকচারিং: ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড গোল্ড, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি সিলভার এবং রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী।
পাওয়ার এন্ড এনার্জি সেক্টর: ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সিলভার পুরস্কার বিজয়ী।
ডাউভার্সিফাইড হোল্ডিংস: অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড/এসিআই লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী।
ইন্স্যুরেন্স (জেনারেল): গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গোল্ড, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড সিলভার এবং সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
ইন্স্যুরেন্স (লাইফ): ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
এনজিও/এনপিও: সাজিদা ফাউন্ডেশন সিলভার এবং শক্তি ফাউন্ডেশন ফর ডিসঅ্যাডভান্টেজড উইমেন ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
কমিউনিকেশন এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি: রবি আজিয়াটা লিমিটেড গোল্ড, গ্রামীণফোন লিমিটেড সিলভার এবং জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
সার্ভিস সেক্টর: ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী।
করপোরেট গভর্ন্যান্স ক্যাটাগরি: ব্যাংক এশিয়া পিএলসি গোল্ড, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি সিলভার এবং ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি।
ইনটিগ্রেটে রিপোটিং ক্যাটাগরি: ব্যাংক এশিয়া পিএলসি এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি যৌথভাবে গোল্ড পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে, আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি সিলভার এবং ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবছর নির্ধারিত নম্বর না পাওয়ায় পাবলিক সেক্টর ব্যাংক, ইনফ্রাস্ট্রাকচার এন্ড কনস্ট্রাকশন সেক্টর ও এগ্রিকালচার খাতে কোন পুরস্কার প্রদান করা হয়নি।
এমআই