বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধান প্রধানমন্ত্রীকে সীমাহীন ক্ষমতা দিয়েছে উল্লেখ করে এ পদের ক্ষমতার কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, দেশে যে রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত আছে, তার আমূল সংস্কার প্রয়োজন। পাশাপাশি রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারও করতে হবে। আমাদের রাষ্ট্র কাঠামো এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। এখানে সংবিধান প্রধানমন্ত্রীকে এমন ক্ষমতা দিয়েছে, যা সীমাহীন। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ ধারায় পরিবর্তন আনতে চাই।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে এটুআই প্রকল্পের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে শহীদদের রক্তের প্রতি সম্মান রেখে কাজ করে যেতে হবে। এ আন্দোলনে একেবারেই সাধারণ মানুষ রক্ত দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। তাদের এ আত্মত্যাগের কথা মাথায় রেখেই কাজ করে যেতে হবে।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর নাহিদ জানিয়েছিলেন, গণপরিষদ আহ্বান করে বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন করা হবে। ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্ডিয়া সিম্পসনের সঙ্গে সচিবালয়ে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেছিলেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হেড অব মিশন ক্লিংটন পবক বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন বিষয়ে উপদেষ্টা নাহিদের কাছে জানতে চান। তিনি জানতে চান, সংবিধান সংশোধন জাতীয় নির্বাচনের আগে হবে, নাকি নির্বাচিত সরকারের কাছে রূপরেখা প্রণয়ন করে দেওয়া হবে।
জবাবে নাহিদ বলেছিলেন, যেহেতু আমরা দেশ পুনর্গঠন করতে চাই, তাই সংবিধান সংশোধন আবশ্যক। আমরা চাই জনগণের কথাই সংবিধানে উঠে আসুক। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে গণপরিষদ আহ্বান করে আমরা সংবিধান সংশোধন করবো।