বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (রফতানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ) ঋণ নিরুৎসাহিত করতে সুদের হার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে হলে রপ্তানিকারকদের গুনতে হবে প্রায় ৭ শতাংশ সুদ। এতদিন এ সুদের হার ছিল সাড়ে ৪ শতাংশ।
রবিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী সিকিউরড ওবারনাইট ফাইন্যান্সিং রেটের (সোফার) সঙ্গে মার্জিন হিসাবে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ যোগ করে ইডিএফের সুদ নির্ধারণ করা হবে। বর্তমানে সোফার পদ্ধতিতে সুদের হার ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তার সঙ্গে নতুন করে দেড় শতাংশ যোগ করলে সুদের হার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। পূর্বের সুদের হার ছিল সাড়ে ৪ শতাংশ। সেই হিসাবে সুদের হার বাড়ল ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অথরাইজড ডিলারের (এডি) কাছে থেকে ৩ শতাংশ সিকিউর্ড চার্জ নিয়ে আসছে। আর এডি ব্যাংকগুলো গ্রাহকের কাছে থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ হারে সুদ আদায় করে আসছিল। কিন্তু নতুন নিয়মে বাংলাদেশ ব্যাংক এডির কাছ থেকে নতুন সিদ্ধান্তের আলোকে সোফার রেটের সঙ্গে দশমিক ৫ শতাংশ এবং ব্যাংকগুলো গ্রাহকের কাছ থেকে সোফারের সঙ্গে বাড়তি ১ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে সুদ আদায় করবে। তবে সোপর রেট পরিবর্তনশীল হওয়ায় ইডিএফের ঋণে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের উপর নির্দিষ্ট দিন ধরা হবে।
জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ডলার নিয়ে ইডিএফ তহবিল গঠন করা হয়। কোভিডকালে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়া ইডিএফের তহবিলের আকার বাড়িয়ে ৭০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে বর্তমানে ইডিএফের তহবিল ৩০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে গেছে।