বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে সংবিধানে এমন ব্যবস্থা রাখবে, যাতে কেউ দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আর কেউ যেন স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে তা নিশ্চিত করতে বিএনপি সংবিধানে এমন ব্যবস্থা রাখতে চায় যাতে কেউ পর পর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে।
রবিবার তৃণমূল পর্যায়ে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভার অংশ হিসেবে কুমিল্লা ও ফরিদপুরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে অনলাইনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশায় যুক্ত হয়েছে নতুন আশাবাদ। পরিবর্তিত হয়েছে তাদের ভাষা। এই পরিবর্তিত ভাষা পড়তে ও বুঝতে হবে। আশাবাদকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। সেটা না পারলে ছিটকে পড়তে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এতদিন শুধু আওয়ামী লীগ ছিল প্রকাশ্য প্রতিপক্ষ, আমরা তাদের আক্রমণের ধরণ বুঝতাম ও জানতাম। এখন ওরা ছাড়াও চারিদিকে অসংখ্য অদৃশ্য প্রতিপক্ষ, এদের অবস্থান অন্ধকার, এরা সর্বত্র- সতর্ক থাকতে হবে এই দৃশ্যমান আর অদৃশ্য প্রতিপক্ষ মোকাবিলায়।
তারেক রহমান তাঁর বক্তব্যে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরেন। গত বছর ১৩ জুলাই বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে এদেশে স্বৈরশাসনের কবর রচনা করতে চায়, আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে চায়, রাষ্ট্র পরিচালনায় সমাজের জ্ঞানী গুণীদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায়, তরুন ও বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান আর কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত যোগ্যতা অনুযায়ী ভাতা প্রবর্তন করতে চায়, নিশ্চিত করতে চায় সর্বস্তরে নারীর অংশ গ্রহণ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রে আনতে চায় যুগোপযোগী আমূল পরিবর্তন। গড়তে চায় ধর্মবর্ণ গোত্র গোষ্ঠী সমতল পাহাড়ি নির্বিশেষে এক সুষম সমঅধিকারের আধুনিক বাংলাদেশ।
তিনি দলের সব নেতাকর্মীদের এই বার্তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর নির্দেশ দেন।
বিএনপি পরিবার ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে অতীতের মত আবারও দল হিসেবে সফল হবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।