ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারকগুলো (এমওইউ) পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে করা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক এমওইউগুলো পুনর্বিবেচনা করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’
আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ভারতের সঙ্গে সর্বশেষ এমওইউ বর্তমান সরকার পুনর্বিবেচনা করবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমওইউ চূড়ান্ত চুক্তি না। কাজেই এখানে আমাদের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়েছে কি না সেটি তো আমারা দেখতেই পারি। সে অনুযায়ী স্বার্থ রক্ষা করে যা করা দরকার আমরা করব।
শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইলে দিতে হবে বলে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, ফেরত চাইলে দিতে হবে সেটি আমি মিন করিনি। আমি বলেছি, যদি লিগ্যাল প্রশ্ন আসে আমরা তো ফেরত চাইতেই পারি। যদি আইন আদালত আমাদের বলে তাকে ফেরত আনার জন্য তখন সে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।
দিতেই হবে এমন কোনো বিষয় আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ভারত ফেরত দেবে কি না সেটা তাদের বিষয়। চুক্তি আছে আমাদের। চাইলে দিতে পারার কথা। এখানে লিগ্যাল প্রসেস থাকে। আমি জানি না সেটা কীভাবে হবে। যদি লিগ্যাল সিস্টেম চায় তাকে ফেরত আনতে হবে তাহলে অবশ্যই আমরা চেষ্টা করব।
ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থানের স্ট্যাটাসটা কী, তিনি কী হিসেবে থাকছেন- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটা বরং ভারতীয়দের জিজ্ঞেস করুন। লাল পাসপোর্ট অটোম্যাটিকালি বাতিল হয়েছে। এটা ভারতীয়দের জিজ্ঞেস করুন কী স্ট্যাটাসে তিনি সেখানে আছেন।
আমাদের এখানে ভারতের যেসব প্রকল্প সেগুলো এখন পড়ে আছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে কোনো বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পর কিন্তু একটু ক্যাওয়াজ থাকতেই পারে। আমাদের এখানে তো আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একটু সমস্যা ছিল, সেটা অস্বীকার করে লাভ নেই। সেটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছি। আস্তে আস্তে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সবকিছু নরমাল হলে তারা নিরাপত্তা বোধ করবেন এবং তারাও আসবেন। কারণ চলমান প্রকল্পগুলো তো আমাদের শেষ করতে হবে।
ভারতবিরোধী মনোভাবে এক ধরনের মনোভাব তৈরি হয়েছে, যারা এখানে কাজ করেন তারা আতঙ্কের মধ্যে আছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এক ধরনের ভীতির মধ্যে আছেন সেটি বলি, আতঙ্ক না বলি। সেই ভীতি থেকে আশা করি তারা বেড়িয়ে আসতে পারবেন।
মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো সেটেলমেন্ট হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমারে তো অভ্যন্তরীণ সেটেলমেন্টই হচ্ছে না, সেখানে আমাদের আমরা এখনই কেন প্রত্যাশা করব।
কাফি