বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ, যা মৌলিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
তারেক রহমান বলেন, পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুঃশাসনে গুমকে ব্যবহার করা হয়েছে জনসমাজে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য। নির্ভরযোগ্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো একযোগে প্রকাশ করেছে, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৭ শতাধিক মানুষকে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো গুম করেছে। এটি অত্যন্ত পীড়াদায়ক, আজ পর্যন্ত একটি ঘটনারও ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, এই নিখোঁজ মানুষগুলো ছিলেন তাদের পরিবারের প্রাণপ্রিয় সদস্য। তাদের স্বপ্ন, ভালোবাসা ও সুন্দর ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই মানুষগুলো কোথায় আছে আমরা জানি না, তবে রেখে গেছে মর্মান্তিক ও বেদনাবিধুর বাংলাদেশ, যেখানে আমাদের অর্জিত মানবাধিকার ও মূল্যবোধ লুণ্ঠিত হয়েছে।
গুম আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আইসিসি’র রোম সনদের ৭ (২) অনুচ্ছেদে গুমকে মানবতার বিরুদ্ধে একটি অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। আর এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ন্যায়বিচারের প্রয়োজনীতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা রাজনৈতিক দর্শন, জাতি, ভাষা, নৃ-গোষ্ঠী, সংস্কৃতি, বর্ণ ইত্যাদিসহ রাষ্ট্রীয় সীমানাকে অতিক্রম করে গুম হওয়া মানুষগুলোর স্মরণে এবং সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য দিবসটি পালন করি।
এই মনুষ্যত্বহীন অপরাধে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য পুরো বিশ্বে ঐক্য ও সংহতির আহ্বান জানান তারেক রহমান।
এমআই