কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে ফারুক আহমেদ ইঙ্গিত দেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হলে জাতীয় দলের প্রধান কোচের পদে হাথুরুসিংহেকে রাখবেন না। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক জানান, তাকে কোচ হিসেবে রাখার কারণ দেখেন না তিনি। বিসিবি সভাপতি হওয়ার পরও বক্তব্য বদলায়নি তার, জানান কোচের ব্যাপারে একই অবস্থান আছে তার।
বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানো হলেও সভাপতির বক্তব্য হয়তো পাকিস্তান সফরে থাকা হাথুরুসিংহে পর্যন্তও পৌঁছেছে। এবার তাকেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলো। জবাবে তিনি জানান, পরিবর্তনটা বুঝতে পারছেন তিনি। তবে নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বিসিবির নেতৃত্বে আসা নতুনদের সঙ্গে কথা বলার অপেক্ষায় তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটিই হতে পারে বাংলাদেশ দলে হাথুরুসিংহের শেষ অধ্যায়। দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রসঙ্গে টেনে প্রশ্ন করার পর তিনি বললেন, ‘আমি বুঝতে পারছি যে, নেতৃত্বে কিছু নতুন মুখ এসেছে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে পারছি। তবে আমি (বাংলাদেশে গিয়ে) তাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগের অপেক্ষায় আছি।’
হাথুরুসিংহের তত্ত্বাবধানেই টেস্টে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো হারিয়েছে বাংলাদেশ। দল সাফল্যের ছোঁয়ায় থাকলেও বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহের আগামী অন্ধকারাচ্ছন্ন। এমন সময়ের অনুভূতি ও সম্ভাব্য শেষ সিরিজ হিসেবে বর্তমান অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাজ হলো, দলকে সর্বোচ্চ ভালোভাবে প্রস্তুত করা। গত কয়েক মাসে আমরা যে কঠোর পরিশ্রম করেছি, সামনের ম্যাচের জন্যও এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা একইরকম মনোযোগ রেখেছি।’
সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবে জানিয়ে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমরা সব সময় আক্রমণাত্মক পরিকল্পনাতেই যাব। কন্ডিশনের ওপর অনেক সময় পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসে। প্রথম ম্যাচ থেকে আমাদের প্রস্তুতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমরা নিজেদের শক্তির জায়গা, সীমাবদ্ধতা জানি। প্রতিপক্ষের শক্তি এবং সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলোও জানা আছে আমাদের। পিচ, কন্ডিশন সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা আমাদের কৌশলের ব্যাপারে চিন্তা করে থাকি।’
এমআই