রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার আওতাধীন কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান ও সচিবদের পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, ‘সচিবদের তাদের আওতাধীন কোনো কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকা উচিত নয়। এতে স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটে। ভবিষ্যতে কোনো সচিব যাতে তাদের আওতাধীন কোনো কোম্পানির চেয়ারম্যান না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কোম্পানিগুলোতে ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
বুধবার (২৮ আগস্ট) পেট্রোবাংলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পেট্রোবাংলা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ সচিব কিংবা উচ্চপদস্থ কেউ কাজে যতই দক্ষ হোন না কেন, প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে পরিচালনা পর্ষদে ছাত্রদের সুযোগ দেয়া হবে।’
কর্মকর্তাদের তেলবাজির সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফাওজুল কবির বলেন, তিনি বলেছেন, আপনি কেন একজন সচিব, মন্ত্রী কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রশংসা করবেন। প্রশংসা করতে হবে সৃষ্টিকর্তার। এরপর মা-বাবাকে। তারপর যদি প্রশংসা করতে হয় তাহলে যেসব ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছেন তাদের প্রাপ্য।
সভায় তিনি বলেন, মানুষের পরিবর্তনের প্রত্যাশাকে অনুধাবন করতে হবে। রাজপথের ভাষা বুঝতে না পারলে সকলের কী পরিণতি হবে- তা বুঝতে হবে। বর্তমান সরকারের পেছনে দর্শনটা বুঝে, সেভাবেই সকলকে আচরণ করার আহ্বান জানান।
ফাওজুল কবির বলেন, মানুষ কেন রাস্তায় নেমে এসেছিল, কেন রক্ত দিয়েছিল তা বুঝতে হবে এবং অনুধাবন করতে হবে।
ইতোমধ্যে জ্বালানি খাতে যে অনিয়ম হয়েছে, তার ক্ষেত্রে কী করবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, যেহেতু এ ব্যাপারে চুক্তি আইনের প্রশ্ন জড়িত। তাই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। প্রয়োজনে সাবেক বিচারপতির সমন্বয়ে কমিটি করে বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো পর্যালোচনা করার পদক্ষেপ নেবেন বলেও তিনি জানান।
এমআই